কোনো বাধা লাঠিটিলায় সাফারি পার্ক স্থাপন আটকাতে পারবে না: পরিবেশমন্ত্রী
Tweet
মৌলভীবাজারের জুড়ীতে আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে পরিবেশমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। শনিবার উপজেলা প্রশাসন ও সমাজসেবা কার্যালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছবি: প্রথম আলো
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেই সাফারি পার্কের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কোনো বাধা লাঠিটিলায় বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক স্থাপন আটকাতে পারবে না। গাজীপুর ও কক্সবাজারের ডুলাহাজারায় সাফারি পার্কের স্থাপনের সময়ও সেখানে প্রথমে বাধা এসেছিল। কিন্তু লাভ হয়নি। সাফারি পার্ক স্থাপনে যেটা প্রয়োজন, সেটা করা হবে।
মন্ত্রী আজ শনিবার মৌলভীবাজারের জুড়ীতে চা-শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় চা-শ্রমিক ও অসচ্ছল সংস্কৃতিসেবীদের মধ্যে আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। উপজেলা প্রশাসন ও সমাজসেবা কার্যালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, সাফারি পার্ক নির্মাণে কাউকে উচ্ছেদ করার কোনো পরিকল্পনা নেই। কারও ক্ষতি হবে না। ৯ টাকা নয়, ৯০০ টাকা নয়, এটা ৯৮০ কোটি টাকার প্রকল্প। পার্ক নির্মাণ করে কাউকে উচ্ছেদ করার কোনো পরিকল্পনা নেই। কারও ক্ষতি হবে না।
মন্ত্রী বলেন, মাধবকুণ্ডে কেব্ল কার স্থাপন হবে। হাকালুকি হাওরের উন্নয়নে একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। জুড়ী-বড়লেখা আঁকাবাঁকা সড়কে প্রায়ই দুর্ঘটনা হয়। দুর্ঘটনা এড়াতে ওই রাস্তায় স্ট্রিটলাইট স্থাপন করা হচ্ছে। পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে জুড়ী নদীর পাশে হাঁটার জন্য ওয়াকওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলায় বর্জ্য সংগ্রহ করে সার উৎপাদনেরও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া জুড়ী পয়েন্ট থেকে লাঠিটিলা সড়ক পর্যন্ত আরসিসি ঢালাইয়ের কাজ দ্রুত শুরু হবে। জুড়ীতে সাড়ে ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম হবে।
মন্ত্রী বলেন, সাফারি পার্ক নির্মাণে কাউকে উচ্ছেদ করার কোনো পরিকল্পনা নেই। কারও ক্ষতি হবে না। ৯ টাকা নয়, ৯০০ টাকা নয়, এটা ৯৮০ কোটি টাকার প্রকল্প। পার্ক নির্মাণ করে কাউকে উচ্ছেদ করার কোনো পরিকল্পনা নেই।
অনুষ্ঠানে জুড়ী-ফুলতলা সড়কের কাজে ধীরগতির বিষয়ে মন্ত্রী কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে। অন্যথায় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বেলা ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদের অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোনিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ মোঈদ ফারুক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফুলতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুক আহমদ, জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় চক্রবর্তী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রিংকু রঞ্জন দাস, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রঞ্জিতা শর্মা প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়ের একাডেমিক সুপারভাইজার মো. আলাউদ্দিন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী কয়েকজন শ্রমিক ও সংস্কৃতিসেবীর হাতে অনুদানের চেক তুলে দেন। উপজেলা প্রশাসন জানায়, উপজেলার বিভিন্ন চা-বাগানের ৩ হাজার ৪৪৭ জন শ্রমিককে এককালীন ৫ হাজার টাকা করে এবং ১০ জন অসচ্ছল সংস্কৃতিসেবীকে ২ হাজার ৫০০ টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়।
সেখান থেকে ফিরে মন্ত্রী স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উদ্যোগে নির্মিত উপজেলার উত্তর ভবানীপুর ও শিলঘাট চা-বাগান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করেন।