চা কেন পান করবেন?

Share on Facebook

চা পানের উপকারিকা ও ক্ষতিকর দিক নিয়ে বিভিন্ন সময়ে নানান কথা শোনা যায়। কেউ কেউ চা পান করাকে বেশ উপকারী কেউ বা আবার ক্ষতিকরও বলেন। এবার জেনে নিন চা পান করা শরীরের জন্য কতটা উপকারী?

চা পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না বোধ হয়। ক্লান্তি দূর করার পাশাপাশি চায়ের রয়েছে নানান গুণ। প্রতিদিন ঠিকমতো পান করলে শরীরের অনেক উপকার করে।

সকালে ঘুম ভেঙে বা সন্ধ্যার আড্ডায়, পাড়ার দোকানে রাজনৈতিক আলোচনায় বা অফিসে কাজের ফাঁকে, এক কাপ চা ছাড়া যেন সবকিছুই অসম্পূর্ণ।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন প্রাপ্তবয়স্কের দিনে কমপক্ষে ২ থেকে ৩ কাপ চা পান করা উচিত। বয়স ধরে রাখতে ও শরীরকে চনমনে রাখতে এর জুড়ি মেলা ভার। তবে খালি পেটে অবশ্যই চা পান করা উচিত নয়।

টি অ্যাসোসিয়েশন অফ আমেরিকা ও ইউনাইটেড নেশনস ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন এর মতে, বিশ্বজুড়ে পানির পর সবচয়ে বেশি পান করা হয় চা। হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে, এমনকি ক্যান্সার ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধ, স্নায়বিক সমস্যা কমাতেও সাহায্য করে চা।

সাধারণত তিন ধরনের চা আমরা পান করি। তবে দুধ চায়ের থেকে লিকার চা বা ব্লাক টি ও গ্রিন টি এর উপকারিতা অনেক বেশি। ভারতের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের মতে এই দুই প্রকার চা হার্টের পক্ষে খুব উপকারী। প্রাকৃিতক খনিজ উপাদানে ভরপুর এই চা পান করলে হৃদরোগের প্রবণতা কমে যায়।

অনেকেই যখন তখন চা পান করেন। আবার কেউ কেউ মনে বেড টি হলো চা পানের উপযুক্ত সময়। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্যের পক্ষে একেবারেই ভালো নয় বেড টি। সাধারণত সকালের নাস্তার পরেই চা পানের পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। সকালের নাস্তার অন্তত ২০ মিনিট পরে চা পান করলে তা সারাদিন চনমনে থাকতে সাহায্য করবে।

চা পানের আরও একটি অন্যতম বড় উপকারিতা হলো শরীরে পানির মাত্রা ঠিক থাকতে এটি সাহায্য করে। এটি হয়তো অনেকেরই অজানা। চায়ের উপকরণে ৯৯ শতাংশই পানি থাকায় তা শরীরে জলের ঘাটতিও পূরণ করে।

Leave a Reply