পানশালা : মুনাফায় ব্যর্থ বিপিসি তাই বেসরকারি ব্যবস্থাপনা
Tweet
বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন (বিপিসি) নিজস্ব মালিকানাধীন মোট ১২টি পানশালা পরিচালনা করে মুনফা অর্জনে ব্যর্থ হওয়ায় পানশালাগুলো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ৫ থেকে ১০বছর মেয়াদী লিজে প্রদান করা হয়। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হয়ে সব ক’টি পানশালাই মুনাফা করছে।
ঢাকার ঐতিহ্যবাহী পানশালা ‘সাকুরা’ ২০০২সাল থেকে লিজের মাধ্যমে চলছে। ২০১৭ সালে সাকুরাকে আরও ১০ বছরের জন্য ৯০ লাখ টাকায় লিজ নিয়েছে আসিফ ট্রেডার্স। দেওয়া হয়। ঢাকার ‘রুচিতা রেস্তোরাঁ ও বার’ ২০১৪সালে মেসার্স নেস্ট লিজ নিয়ে পরিচালনা করছে। নারায়ণগঞ্জের পাগলায় অবস্থিত ‘মেরী এন্ডারসন ভাসমান রেস্তরা ও বার’ পরিচালনা করছে মেসার্স সোনারগাঁও ট্যুরিজম লিমিটেড।
পাঁচ বছরের জন্য ৪৪লাখ টাকায় লিজ নিয়ে ‘বগুড়া বার’ ২০১৬ সাল থেকে পরিচালনা করছে মেসার্স ট্র্যান্ড স্যাটারস। রাজশাহী মোটেল–সংলগ্ন রাজশাহী বার বছরে ২০ লাখ ৭০ হাজার টাকার লিজে পরিচালনা করছে মেসার্স সুবর্ণা।
বাগেরহাটের মোংলা চত্বরে অবস্থিত পানশালাটি পাঁচ বছরের জন্য ১৮ লাখ ৩২ হাজার টাকায় লিজ নিয়ে পরিচালনা করছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স হোসেন চৌধুরী। সিলেট পর্যটন মোটেল চত্বরে নির্মিত বারটি বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালনার জন্য মেসার্স এস এ এস ট্রেডার্স।
চট্টগ্রামের ভাটিয়ারীতে গলফ ক্লাব বার পরিচালিত হচ্ছে ভাটিয়ারী গলফ ক্লাবের মাধ্যমে। বার্ষিক ৪৬ লাখ ৬০ হাজার টাকায় পাঁচ বছরের জন্য লিজ নিয়ে চট্টগ্রামের মোটেল সৈকতের রেস্তোরাঁ ও বার পরিচালনা করছে মেসার্স সুবর্ণা এন্টারপ্রাইজ।
বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হয়ে মুনাফা করলেও পর্যটন কর্পোরেশন কেনো মুনাফা করতে পারেনি এই প্রশ্নের উত্তরে করপোরেশনের কর্মকর্তারা ব্যাপক অনিয়ম আর দুর্নীতিকে দায়ী করে বলেন, এছাড়াও পানশালা পরিচালনার ক্ষেত্রে সরকারি নিয়মকানুন মানতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় করপোরেশনকে। সে কারণে ১২টি পানশালাই বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ছাড়ার আগে পানশালাগুলোকে লাভজনক করতে অনিয়ম আর দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিলো কি- এ প্রশ্নের সদুত্তর পাওয়া যায়নি।