আয়ুর্বেদে কফির অনেক গুণ, খাওয়ার সময় এই ভুলগুলো করছেন না তো!
Tweet
সাধারণত সকালে ঘুম ঘুম চোখেই কফির কাপের দিকে হাত বাড়ান বেশীরভাগ মানুষ। আমরা নিজের অজান্তেই কফি খাওয়ার সময় বেশ কয়েকটি ভুল করে থাকি। এসব ভুল শুধরে নিতে পারলেই কফি আমাদের আরও কাজে আসবে, এমনকি আমাদের স্বাস্থ্যেরও উপকার করবে।
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যাঁরা দিনের শুরুটা এক কাপ Coffee দিয়ে করেন। এছাড়াও সারাদিনে যখনই মন চায় কিংবা এনার্জিতে ঘাটতি হয়েছে বলে মনে হয়, তখনই এক কাপ কফি খেয়ে নিই। দিনে অন্তত সাত থেকে আট কাপ কফি হামেশাই খেয়ে থাকেন বহু মানুষ। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কফি শরীরের অনেক উপকারই করে। কিন্তু অত্যধিক মাত্রায় কফি পান মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। বরং শরীরে বেশ ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।
কফি খাওয়ার একটা নিয়ম রয়েছে বলে মত তাঁদের। সেই নিয়মের বাইরে গেলেই স্বাস্থ্যকর কফি হয়ে উঠতে পারে ক্ষতিকর। তবে, কফি খাওয়ার সময় কোন কোন বিষয়গুলো অবশ্যই খেয়াল রাখতে বলছেন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা?
কফি বিন হল পলিফেনল ক্রিয়াকলাপের একটি শক্তিঘর। পলিফেনলগুলি এমন উদ্ভিদে পাওয়া যায় যেগুলিতে উচ্চ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ভিতরে থেকে ক্ষতিকারক মুক্ত র্যাডিকেলগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। ফ্রি র্যাডিক্যালস বা অস্থির অণু ডিএনএ এবং প্রোটিনকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, কিন্তু কফিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি তাদের থেকে আমাদের রক্ষা করে। ঘরে তৈরি করা আট আউন্সের এক কাপ কফিতে সাধারণত ১০০ মিলিগ্রামের মতো ক্যাফেইন থাকে। প্রাপ্তবয়স্ক একজন মানুষের জন্য মোটামুটি ৪০০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন দৈনিক পান করা নিরাপদ। এর বেশি পান করলে অনিদ্রা, খিটখিটে মেজাজ, পেট খারাপের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
রোজ কফি খাওয়ার উপকারিতা
কফিতে থাকা ক্যাফেনাইন এনার্জি বর্ধক। এই উপাদান শারীরিক ও মানসিক এনার্জি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
মস্তিষ্ক ভালো কাজ করে।
চিন্তা শক্তি উন্নত হয় এবং দক্ষতা উন্নত হয়।
টাইপ 2 ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কম থাকে। (যদি চিনি ছাড়া নেওয়া হয়)
ডিমেনশিয়া এবং পারকিনসন্স রোগের ঝুঁকি কম থাকে।
হতাশার ঝুঁকিও কমে যায়।
লিভারের ক্ষতি এবং কলোরেক্টাল ক্যানসারের ঝুঁকি কম থাকে।
কফিতে রয়েছে ক্যাফেইন ছাড়া পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ও ভিটামিন বি।
কফিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস মন ভালো রাখে।
যাদের মুড স্যুইংয়ের সমস্যা আছে তাদের কফি খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
কফি অবসাদ কমাতেও বিশেষ ভাবে সাহায্য করে।
কফি শরীরে কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করলেও এটি স্নায়ুদতন্ত্রের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে৷ দীর্ঘদিন ধরে একটানা প্রচুর পরিমাণে কফি পানে আমাদের স্বাভাবিক উদ্দীপনাও নষ্ট হতে পারে৷
দিনে তিন কাপ কফিতেই সন্তুষ্ট থাকুন। আর বাড়তি ওজনের চিন্তা থাকলে কফির সঙ্গে দুধ-চিনি যোগ না করে শুধু কফি পানের অভ্যাস করুন।