খুলনায় শিশু মনি-মুক্তা হত্যার দায় স্বীকার মায়ের
Tweet
খুলনায় দু’ মাসের জমজ শিশু মনি-মুক্তা হত্যার দায় স্বীকার করেছেন মা কনিজ ফাতেমা কনা।
শনিবার আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয় সে। বিকেল পৌনে ছয়টার দিকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ৪ এর বিচারক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তেরখাদা থানার এসআই এনামুল হক।
পুলিশ জানায়, শনিবার দুপুর পৌনে তিনটার দিকে তেরখাদা থানা থেকে ইজিবাইকযোগে কানিজ ফাতেমাকে আদালতে আনা হয়। বিকেল পৌনে ছয়টার দিকে বিচারকের খাস কামরায় নেওয়া হয়। রাত সাড়ে আটটার দিকে তাকে আদালত থেকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
তেরখাদা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো: মাসুম কাজী সাংবাদিকদের বলেন, কানিজ ফাতেমা কনা দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন। হত্যাকান্ডের কয়েকদিন আগে স্বামী মাসুম বিল্লাহকে মোবাইলে ক্ষুদে বার্তা পাঠায় কনা। শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার জন্য স্বামীকে বলেন। মাসুমের মা অসুস্থ থাকায় বাড়িতে নিতে পারেনি কনাকে। পরে তাকে নেওয়ার কথা বলেছিল সে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। তাছাড়া জমজ শিশুর কান্নাকাটিতে সে বিরক্ত হতো। ওই দিন রাতে মেয়েদের দুধ খাওয়ানোর পর কান্না থামছিল না। অনেক কষ্ট করে তাদের ঘুম পাড়ানো হয়। রাত আড়াইটার পর ঘুম থেকে জেগে আবারও কান্না শুরু করলে তাদের হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয় সে। হত্যার পর কিছুক্ষণ শিশুদের কাছে অবস্থান করে সে। ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার সব পরিকল্পনা সে করেছিল। পরে পুকুরে ফেলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
এরপর দু’ঘন্টা পর বাচ্চা নিখোঁজের নাটক সাজিয়ে চিৎকার করে। পাড়া প্রতিবেশীরা ছুটে আসে। মসজিদের মাইকে ঘোষণা করা হয়। পরে ভোর সাড়ে ছয়টার দিকে পুকুরে বাচ্চা দু’টির লাশ ভেসে থাকতে দেখা যায়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো: এনামুল হক জানান, শুক্রবার বিকেলে কনাসহ বাবা ও মাকে থানায় ডেকে নেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদের সময় শিশু দু’টির মা অসংলগ্ন কথা বলতে থাকলে তাদের সন্দেহ আরও বেড়ে যায়। একপর্যায়ে শিশু হত্যার কথাও স্বীকার করে সে। তার সাথে আর কেউ জড়িত না বলে তিনি আরও জানিয়েছেন।