ডায়াবেটিস রোগীদের ৩টি খাবার নিয়মিত রাখলে মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতাও কমবে আর শরীরেও মিলবে পুষ্টি
Tweet
বিশ্বজুড়েই বেড়েই চলেছে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা। ছোটরা ভুগছে টাইপ ১ ডায়াবেটিসে অন্যদিকে বড়রা ভুগছেন টাইপ ২ ডায়াবেটিসে। দীর্ঘমেয়াদী এই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা বেশ মুশকিল। যদি না আপনি নিয়মে মেনে ও সুস্থ জীবনধারণ করেন।
বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের খাওয়া-দাওয়ার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হয়। শুধু মিষ্টি বাদ দিলেই হবে না, বরং আপনি প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কী কী রাখছেন সেটিও গুরুত্বপূর্ণ।
কোনো খাবার খাওয়ার আগে জানতে হবে সেটি শরীরে কেমন প্রভাব ফেলবে। তবে অনেক ডায়াবেটিস রোগীই একই ধরনের খাবার দৈনিক খান। আবার মিষ্টির লোভ সামলাতে না পেরে ভুল খাবারও খেয়ে বসেন।
তবে খাদ্য তালিকায় ৩টি খাবার নিয়মিত রাখলে আপনার মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতাও কমবে আর শরীরেও মিলবে পুষ্টি। এমনকি এই খাবারগুলো ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও রাখবে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক কোন খাবারগুলো খাবেন-
> বিশেষজ্ঞরা বলেন, দৈনিক একটি করে আপেল খেলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না। অনেকেই ভাবেন ডায়াবেটিস রোগীদের ফল খাওয়া একেবারেই নিষেধ। এ ধারণা ভুল।
আপেলের গ্লাইসেমিক মান বেশ কম। অর্থাৎ আপেল খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণে খুব একটা পরিবর্তন হয় না। পাশাপাশি এতে থাকে ফাইবার ও ভিটামিন সি।
তাই নিয়মিত অল্প পরিমাণে আপেল খেতেই পারেন ডায়াবেটিস রোগীরা। এই ফল খেলে মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতাও কমে।
> বাদামের স্বাস্থ্যগুণ অনেক। বিশেষ করে আমন্ড বাদামে থাকে প্রচুর পরিমাণ ম্যাগনেশিয়াম। শরীরে উপস্থিত ইনসুলিনকে সঠিকভাবে কাজ করতে সহায়তা করে ম্যাগনেশিয়াম।
কাজেই রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেশ কার্যকর এই বাদাম। এতে আরও থাকে মনো-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রোটিন ও ফাইবার।
কিছুক্ষণ পরপর যদের ক্ষুধা লাগে তারা সঙ্গে আমন্ড রেখে দিতে পারেন। ক্ষুধা পেলেই ২-৩টি আমন্ড খেয়ে নিন। দেখবেন পেটও ভরবে আবার শরীরও পাবে পুষ্টি।
> শীত আসতেই বাজার ভরে ওঠে পালং শাকে। এই শাক যদিও বছরের অন্যান্য সময় পাওয়া যায় না। পালং শাকেও থাকে প্রচুর পরিমাণ ম্যাগনেশিয়াম ও ফাইবার।
পালং শাকে ক্যালোরির ও গ্লাইসেমিক মানও কম। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা নির্ভয়ে উপভোগ করতে পারেন পালং শাকের নানা পদ।