কাপ্তাইয়ে পর্যটন কেন্দ্রগুলো পর্যটকদের ডাকছে হাত ছানি দিয়ে
Tweet
পাহাড় ঘেরা সবুজ বন আর সুবৃহৎ হ্রদ পরিবেষ্টিত দেশের অন্যতম পর্যটন এলাকা কাপ্তাই। এখানে রয়েছে দেখারমত অনেক দর্শনীয় স্থান। এসব দর্শনীয় স্থানে আছে দল বেঁধে পিকনিক করা বা পরিবার নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর নানা সুযোগ–সুবিধা। নিরবে দাড়িয়ে থাকা পাহাড় গুলো যে কারো একাকিত্ব দূর করতে যথেষ্ট। এখানে যারা একবার এসেছেন প্রকৃতি তাদের বারবার আসতে বাধ্য করবে।
কি আছে কাপ্তাইয়ে : এখানে রয়েছে ৯টি নয়নাভিরাম পিকনিক স্পট, সুদৃশ্য চা বাগান, কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান, এশিয়া বিখ্যাত কর্ণফুলী পেপার মিল, দেশের একমাত্র পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ইঞ্জিনিয়ারিং একাডেমি সহ অসংখ্য বৃক্ষে ভরপুর সংরক্ষিত বনাঞ্চল। বনে বানর, হনুমান, টিয়াসহ হরেক রকম পশুপাখি বিচরণ দেখা মিলে সব সময়। অবশ্য আগে অনেক হরিণ দেখা গেলেও এখন এর সংখ্যা কমে গেছে।
কাপ্তাই রাস্তার পাশেই রয়েছে বিডিআর পরিচালিত প্যানারোমা ঝুম রেঁস্তোরা। কর্ণফুলী নদীর কুল ঘেঁষে গড়ে উঠা এ পিকনিক স্পটে এক সাথে পাঁচ শতাধিক লোকের বসার সুব্যবস্থা আছে বলে জুম কর্তৃপক্ষ জানান। রেঁস্তোরাটির পাশের পাহাড়ের চূড়ায় রয়েছে স্পট ভিউ। ওখানে উঠলে দেখা মিলবে নয়নাভিরাম কাপ্তাইয়ের অপার সৌন্দর্য। আর এখানে এসে স্পিড বোটে চড়ে দল বেঁধে বেড়ানো না গেলে মনে হবে বেড়ানোই বুঝি হলো না। তাই তো ভ্রমণপিপাষুরা এখানে আসলেই বের হয় নদী ভ্রমণে।
নৌ বাহিনী পরিচালিত আরেকটি আকর্ষণীয় স্থান হলো লেক প্যারাডাইস পিকনিক স্পট। এখানে একসাথে দুই হাজার লোক সমাগমের ব্যবস্থা আছে বলে কর্তৃপক্ষ জানান। স্পটটির মূল আকর্ষণ সুবিশাল কাপ্তাই লেক। রান্নার সুব্যবস্থাসহ এখানে শিশুদের খেলাধুলা, সাঁতার কাটা, বোট চালানো ব্যবস্থা সহ বসার জন্য আছে সুসজ্জিত স্থান ও দোলনা। হিমেল ফুরফুরে হাওয়া, শান্ত নীল লেকের জল আর গাছ গাছালিতে পরিপূর্ণ পরিবেশ মনকে ভরিয়ে তুলবে আনন্দে।
সেনাবাহিনী পরিচালিত লেকশোর সেনা রিজোর্ট পর্যটকদের জন্য আরেকটি আকর্ষণীয় বিনোদন কেন্দ্র। এখানে রয়েছে হেলিপ্যাড, মাটি, ছন ও বাঁশের ঘর। হ্রদের বিশালতা দেখতে এখানে আসতেই হবে। মিনি চিড়িয়াখানাসহ বিশাল খেলার মাঠ আর পর্যটকদের থাকার সু ব্যবস্থাতো আছেই।
এছাড়া কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান বা নেশন্যাল পার্ক, বিএফআইডিসি পরিচালিত লেকভিউ পিকনিক কর্নার, বনশ্রী পর্যটন কমপ্লেক্স, ওয়ান্ত্রা চা বাগান, কর্ণফুলী ভিউ ক্লাব পিকনিক স্পট, পাহাড়িকা পিকনিক স্পট, বনকুঞ্জ পিকনিক স্পট ও ফ্রিং খিয়ং ফরেস্ট পিকনিক স্পটতো আছেই।
পর্যটকরা এখানে বোট ভাড়া করে অনায়াসে ভ্রমণ করতে পারে কাপ্তাই লেক ও কর্ণফুলী নদী। একটি বোটে ৫০জন পর্যন্ত যাত্রী উঠতে পারে। কাপ্তাই জেটিঘাট থেকে এসব বোট ভাড়া করতে হয়। খরচও অনেক কম ঘন্টা ৩০০ টাকা। অনেকে চট্টগ্রাম থেকে বোট ভাড়া করে বেড়াতে আসেন এখানে। দিনভর কাপ্তাই বেড়িয়ে সাঁঝ বেলা ফিরে যান। কাপ্তাই বেড়াতে এসে কর্ণফুলী পেপার মিল আর পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রও অনায়াসে ঘুরে দেখা যায়। মনোরম পর্যটন কেন্দ্র গুলো যেন হাত ছানি দিয়ে ডাকছে ভ্রমণ পিপাষুদের।