ট্রেনে ভারত থেকে নেপাল, খরচ একেবারেই কম
Tweet
শুরুটা হয়েছিল ১৯৩৭ সালে ব্রিটিশ আমলে। তবে ২০০১ সালে বন্ধ হয়ে যায় ভারত-নেপাল রেল চলাচল। ওই বছর নেপালে প্রবল বন্যার কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া পথে নতুন করে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে গত ২ এপ্রিল। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও নেপালি প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবা গত রোববার ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এ যাত্রার সূচনা করেন।
জানা গেছে, দিনে দুইবার বিহারের জয়নগর থেকে নেপালের কুর্থা পর্যন্ত যাতায়াত করছে ট্রেনটি। পূর্ব মধ্য রেলের উদ্যোগে ট্রেনটি ভারতের জয়নগর থেকে ছাড়ছে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টায়। সাড়ে ১০টায় কুর্থা পৌঁছে ফের ভারতের উদ্দেশে রওয়ানা দেয় বেলা পৌনে ১১টায়। জয়নগরে পৌঁছাতে এর সময় লাগে মাত্র দু’ঘণ্টা। এরপর আবার বিকাল ৩টায় রওয়ানা দিয়ে পৌঁছায় ৫টার সময়। সেখান থেকে জয়নগরে ফেরে সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে।
পাঁচ বগির ট্রেনটিতে মোট আসন রয়েছে ৩৫৮টি। এর মধ্যে ১১২টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি)। ট্রেনটি চালানোর জন্য কোঙ্কন রেলওয়ে করপোরেশন লিমিটেড ১০টি আধুনিক বগি দিয়েছে নেপাল রেলওয়ে কোম্পানিকে।
ভারত থেকে নেপাল পর্যন্ত ৩৪ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেলপথে রয়েছে আটটি স্টেশন। জয়নগর, ইনারওয়া, খাজুরি, মহিনাথপুর, বাইদেহি, দেউরি পরবাহা, জনকপুর ধাম ও কুর্থা। পথে ছোট-বড় মিলিয়ে রয়েছে ১৪২টি সেতু। এই রেলযাত্রার টিকিট দুই দেশেই বিক্রি হচ্ছে। নেপালের মুদ্রা দিয়ে যেমন সে দেশে টিকিট কাটা যায়, তেমনি ভারতের ক্ষেত্রেও টিকিট বিক্রি হচ্ছে দেশীয় মুদ্রায়।
ট্রেনটিতে সাধারণ শ্রেণির সর্বনিম্ন ভাড়া ২০ রুপি। তাতে জয়নগর থেকে যাওয়া যাবে নেপালের মহিনাথপুর স্টেশন পর্যন্ত। ওই পথটুকু এসি বগিতে গেলে ভাড়া ১০০ রুপি। আর জয়নগর থেকে কুর্থা পর্যন্ত গেলে এসি বগিতে টিকিটের দাম ৪৫০ রুপি ও সাধারণ বগিতে ৯০ রুপি।