রূপচর্চার সময় নেই? মাত্র ৬টি উপায়ের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে নিখুঁত ত্বকের রহস্য
Tweet
অফিসের কাজকর্ম সেরে, বাড়ির দায়দায়িত্ব সামলে উঠতেই আপনার দিন শেষ। এরপর আর সময় পান না নিজের যত্ন নেওয়ার। এতে ত্বকের অবস্থাও বেহাল। নিয়মিত সঠিক স্কিন কেয়ার রুটিন (Skin Care Routine) মেনে না চলার কারণে ত্বকেও এবার দেখা দিতে শুরু করেছে বার্ধক্যের লক্ষণ। চোখের নিচে কালশিটে দাগ (Dark Circles)। কপাল জুড়ে বলিরেখা (Wrinkles)। আর ত্বকে পিগমেন্টেশনের সমস্যা তো রয়েছেই। কিন্তু এভাবে যদি দিনের পর দিন ত্বকের অবহেলা করেন তাহলে আর বেশি দিন নেই আপনার ত্বকের লাবণ্য হারিয়ে যেতে। তাই যা করার এখন থেকে করা শুরু করতে হবে।
এসব পড়ে আপনি নিশ্চয়ই ভাবছেন, আবার কোনও স্কিন কেয়ার রুটিনের কথা বলা হবে। নামি-দামী প্রসাধনী ব্যবহার করলেই যে ত্বক ভাল থাকবে এমনটা নয়। সকাল বিকাল রূপচর্চা করলেও যে ত্বক ভাল থাকে তাও কিন্তু নয়। ত্বকের স্বাস্থ্য তখনই ভাল থাকবে, যখন ভিতর থেকে আপনি এর খেয়াল রাখবেন। অর্থাৎ জীবনধারায় যদি আপনি সামান্য পরিবর্তন আনেন, তাহলেই ফিরে পাবেন ত্বকের লাবণ্য।
-ক্লিনজিং, টোনিং এবং ময়েশ্চারাইজিং। এই তিনটি ধাপ আপনাকে অবশ্যই মেনে চলতে হবে। দিনে দু’ বার করে এই রুটিনটা মেনে চলুন। আপনি নিজেই তফাৎ লক্ষ্য করবেন। সকালে স্নানের পর একবার এই রুটিনটা অনুসরণ করুন। এরপর একদম রাতে বিছানায় যাওয়ার আগে এই তিনটি ধাপ আবার করুন। এতেই অনেকটা ভাল থাকবে আপনার ত্বক।
-সকালে অফিস যান কিংবা বাড়িতে থাকুন, নিয়ম করে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি আমাদের ত্বকের বেশি ক্ষতি করে। তাই ত্বকের ধরনের অনুযায়ী সানস্ক্রিন বেছে নিন এবং সেটা নিয়মিত ব্যবহার করুন।
-আপনার ত্বক তখনই ভাল থাকবে যখন আপনার শরীরে সমস্ত পুষ্টির চাহিদা পূরণ হবে। শরীরে পুষ্টির অভাব ত্বকের ওপরও প্রভাব ফেলে। ভিটামিন সি-এর অভাব ত্বকে ঘা, ব্রণ, এগজিমার সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর ডায়েট মেনে চলুন। এতে আপনার ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
-প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। গরমে শরীর হাইড্রেটেড থাকলে অনেক রোগের ঝুঁকিই কমে যায়। একইভাবে ত্বক হাইড্রেটেড ত্বক সতেজ দেখায়। তাছাড়া প্রস্রাবের সঙ্গে শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বাইরে বের হয়ে যায়, যার ফলে ত্বক ও শরীর দুটোই ভাল থাকে। আপনি জলের পাশাপাশি ফলের রস, সবজির জ্যুস, ডাবের জলও পান করুন। এতেও ত্বক ভাল থাকে।
-ব্যায়াম করলে শুধু যে শরীর ফিট থাকে, তা নয়। এতে ত্বক রক্ত চলাচল উন্নত হয়। ত্বক অক্সিজেন গ্রহণে সক্ষম হয়। নিয়ম ব্যায়াম করলে আপনাকে নিখুঁত ত্বক পাওয়া থেকে কেউ আটকাতে পারবে না।
-প্রাণ খুলে হাসুন। হাসলে শরীর আর মন দুটোই ভাল থাকে। তার সঙ্গে ফেসিয়াল ম্যাসাজও হয়ে যায়। এতে বলিরেখা ঝুঁকি কমে যায়। মানসিক চাপ দূর হলে মুখেও তার প্রভাব ফুটে ওঠে।