শরীরের পক্ষে ড্রাগন ফল খুবই উপকারী, চাষও বেশ লাভজনক

Share on Facebook

 

এক ধরনের ক্যাক্‌টাস প্রজাতির ফল ড্রাগন ফল। এই ফলের উৎস মেক্সিকো হলেও এখন পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ড্রাগন ফলের চাষ হচ্ছে। ড্রাগন ফলের আর এক নাম পিটায়া ফ্রুট। শীতকালীন ফল গাজর, কমালেবুর থেকেও এর উপকারিতা বেশি। ড্রাগনের মধ্যে রয়েছে অনেক স্বাস্থ্যকর উপাদান। একটি ড্রাগন ফলে ৬০ ক্যালোরি শক্তি এবং প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন সি, ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৯ থাকে। এই ফলে বিটাক্যারোটিন ও লাইকোপিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টও রয়েছে। বিটাক্যারোটিন শরীরে ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়ে ত্বক, চোখ ও ইমিউন সিস্টেমের উন্নতি করে।

উপকারিতা

হার্টের উপকার করে, জয়েন্টের ব্যথা কমায়

ড্রাগন ফলের বীজে হার্টের জন্য উপকারী ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৯ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। ড্রাগন ফলের ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে প্রদাহনাশক উপাদান রয়েছে। এ কারণে এই ফল খেলে হার্টের রোগের ঝুঁকি ও জয়েন্টের ব্যথা কমে যায়। ড্রাগন ফল খেলে বিষণ্নতাও কমতে পারে।

হাড়ের স্বাস্থ্য ঠিক রাখে

অধিকাংশ ফলের চেয়ে ড্রাগন ফলে ম্যাগনেসিয়াম বেশি থাকে। এটা হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে ও অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধ করে। অস্টিওপোরোসিসে হাড় এতই দুর্বল হয়ে যায় যে সহজেই ভেঙে পড়তে পারে। এক বাটি ড্রাগন ফলে দৈনিক সুপারিশকৃত ম্যাগনেসিয়ামের প্রায় ১৮ শতাংশ পাওয়া যায়। পটাশিয়ামের ভালো উৎস হল ড্রাগন ফল। এই ফলে প্রচুর পরিমাণে প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান থাকে। বিশেষ করে হাড়ের জন্য প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়ামের খুব ভালো উৎস হল ড্রাগন ফল। গবেষণায় দেখা গেছে, মাসিক চক্র স্থায়ী ভাবে বন্ধ হয়ে গেছে এমন নারীর হাড়ের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে ড্রাগন ফল বিশেষ সহায়ক হতে পারে।

Leave a Reply