ভোজ্য তেল নিয়ে যেসব তথ্য জেনে রাখা ভালো
Tweet
বাংলাদেশে গত চার বছরের ব্যবধানে জন প্রতি তেল খাওয়ার পরিমাণ বা খাবার তেলের ভোগ প্রায় ৫ কেজি বেড়েছে বলে সরকারি এক গবেষণায় উঠে এসেছে।
গবেষণার ফলাফল বলছে, ২০১৫ সালে মাথাপিছু খাবার তেল ব্যবহারের পরিমাণ যেখানে ছিল ১৩.৮০ কেজি, ২০১৯ সালে তা ৩৬ শতাংশ বেড়ে জনপ্রতি ১৮.৭ কেজিতে দাঁড়িয়েছে।
চলতি সপ্তাহে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ‘তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি’ প্রকল্পের জাতীয় কর্মশালায় এসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, খাবার তেলের ভোগ বেড়ে যাওয়া জনস্বাস্থ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে, তবে এ ধরনের তেলের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার বিষয়টিকে অবশ্য বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বেশ ইতিবাচকভাবেই দেখছেন পুষ্টিবিদরা।
কারণ তারা মনে করেন যে বাংলাদেশের নিম্নবিত্ত ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ পুষ্টিজনিত রোগে ভুগছে, তাই তাদের পুষ্টি চাহিদা পূরণে তেল খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বিশেষ করে বাংলাদেশের অধিকাংশ গর্ভবতী মা, শিশুকে দুধ খাওয়ানো মা, বাড়ন্ত শিশু এবং কিশোর-কিশোরীর ওজন স্বাভাবিকের চাইতে কম বলে সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা যায়। ফলে, এই জনগোষ্ঠীর জন্য খাবার তেলের ভোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন পুষ্টিবিদ চৌধুরী তাসনীম হাসিন।
কার জন্য কতোটা তেল:
পুষ্টি চাহিদা পূরণে যেমন পর্যাপ্ত তেল দরকার, তেমনি যারা স্থূলতা, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ কিংবা রক্তচাপের মতো সমস্যায় ভুগছেন তাদেরকে আবার চিকিৎসকের পরামর্শে মেপে মেপে তেল খেতে হবে।
নিজের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি বুঝে পরিমিত পরিমাণে তেল খাওয়া বেশ জরুরি। সেক্ষেত্রে চাহিদা যদি বেশি বা কম থাকে, তাহলে তেল খাওয়ার পরিমাণেও কম-বেশি হবে।
এ নিয়ে একটি হিসেব দিয়েছেন চৌধুরী তাসনীম হাসিন:
* ১-৫ বছর বয়সী শিশুদের জন্য দৈনিক ৩-৪ চা চামচ
* ৬ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের জন্য ৭-৮ চা চামচ
* ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত দৈনিক ৬-৮ চা চামচ
এরপর ৪০ বছরের ঊর্ধ্বে যাদের বয়স, তাদের ক্ষেত্রে তেল গ্রহণের পরিমাণ তার ওজন বুঝে কিছুটা কমিয়ে আনতে হবে। কারণ দৈনিক চাহিদার তুলনায় বেশি তেল খেলে স্বাস্থ্য-ঝুঁকি থাকে।
,