জনসাধারণের জন্য বিদেশ ভ্রমণ ব্যয় নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ
Tweet
ডলার সংকটে আমদানিতে কাটছাঁট। তবুও ভারসাম্য আসছে না ডলারের দামে। এ অবস্থায় এবার সাধারণ মানুষেরও বিদেশ ভ্রমণে ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করার দিকে হাঁটছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বর্তমান প্রেক্ষাপটে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এমন উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন অর্থনীতিবিদরা।
বিদেশ গিয়ে প্রতি বছর ১২ হাজার ডলার পর্যন্ত খরচ করতে পারেন ভ্রমণকারীরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের দেয়া সবশেষ সার্কুলার অনুযায়ী, যদি কারও পাসপোর্টের মেয়াদ পাঁচ বছর থাকে, তাহলে তিনি পাঁচ বছরের জন্য একবারে ৬০ হাজার ডলার পাসপোর্টে সংযুক্ত করে নগদ অর্থ বা আন্তর্জাতিক কার্ডেও নিতে পারবেন সমপরিমাণ অর্থ।
বিদেশ ভ্রমণে এমন সুবিধা থাকলেও বর্তমানে ডলার সংকটে টনক নড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের। বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার পরও যখন ডলারের বাজার নিয়ন্ত্রণহীন, তখন সাধারণ মানুষের বিদেশ ভ্রমণেও লাগামছাড়া বৈদেশিক এ মুদ্রার খরচ কমানোর দিকে নজর দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। লক্ষ্য আরও চাপ কমানোর।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, এর আগে ১০ হাজার বা ১২ হাজার ডলার নেয়ার একটা নিয়ম আমরা করেছিলাম। সে সময় আমাদের কিন্তু ক্যাশ ডলারের তেমন সংকট ছিল না। বাস্তব অবস্থা হলো আজকে ক্যাশ ডলারের ওপর একটা চাপ পড়েছে। আমি মনে করি, এই চাপের পরিমাণ কমিয়ে নেয়া যায় কিনা তা বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যালোচনা করে দেখবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংককের এমন উদ্যোগ সময়োপযোগী বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। অর্থনীতিবিদ মোহাম্মদ আবু ইউসুফ বলেন, হেলথ গ্রাউন্ড হলে বা জরুরিগুলো ছাড়া অন্যান্য যে সমস্ত যেমন, কেউ যদি বেড়ানোর জন্য যায় তাদের বছরে যেটা ১২ হাজার ডলার নির্ধারণ করা আছে, সেটিকে কমিয়ে আনা যেতে পারে। তাহলেও কিন্তু এই ডলার সংকটটা কিছুটা হলেও মোকাবিলা হবে।
ডলারের ওপর চাপ কমাতে বিদেশ ভ্রমণে বৈদেশিক মুদ্রা নগদ নেয়ার পরিবর্তে আন্তর্জাতিক কার্ড ব্যবহার করার পরামর্শ ব্যাংকসংশ্লিষ্টদের।