আপনার ত্বকের ক্ষেত্রে কতটা সহায়ক এই চারকোল ফেস মাস্ক?
Tweet
রূপচর্চার সামগ্রী কিনতে গেলে নিশ্চয়ই চোখে পড়েছে চারকোল ফেসওয়াশ, চারকোল ক্রিম, চারকোল সাবান, চারকোল ফেসপ্যাক। হঠাৎ করেই এই চারকোল অর্থাৎ কাঠ কয়লা জায়গা করে নিয়েছে রূপচর্চার দুনিয়ায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রূপচর্চায় চারকোলের ব্যবহার নতুন নয়, ক্লিওপেট্রার যুগ থেকেই ব্যবহার হয় কাঠ কয়লা। তবে শুধু ত্বকই নয়, দাঁত, চুলের যত্নে কাজে লাগে চারকোল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চারকোল ত্বক থেকে বলিরেখা সরিয়ে তরুণ রাখতে দারুণ সাহায্য করে। তবে যাদের খুব স্পর্শকাতর ত্বক, তাঁরা একটু দূরেই থাকুন চারকোলের রূপচর্চা থেকে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুরুষদের স্কিনের জন্য চারকোল খুবই ভাল। কারণ, সাধারণ মহিলাদের তুলনায় পুরুষরা নিজেদের ত্বকের খেয়াল কম রাখেন। কাঠকয়লা কিন্তু স্কিনের পুরনো জেল্লা ফেরাতে দারুণ কাজ করে। এ ব্য়াপারে ব্যবহার করতে পারেন চারকোল শেভিং ক্রিম, চারকোল ফেসওয়াস। সপ্তাহে একবার চারকোল ফেসপ্যাক ব্যবহার করলে স্কিন থাকবে একেবারে ঝকঝকে।
মহিলাদের রূপচর্চায় চারকোল-
সব মহিলারাই কম বেশি রূপচর্চা করে থাকেন। নানারকম ক্রিম মাখেন, ব্যবহার করেন ফেসপ্যাকও। তবে রূপ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একাধিক ক্রিম ব্যবহার করা মোটেই ঠিক নয় ত্বকের জন্য। এতে ত্বক বুড়িয়ে যায় তাড়াতাড়ি। এ ব্যাপারে চারকোল কিন্তু দারুণ কাজ দেয়। রোজ রাতে ঘুমতে যাওয়ার আগে চারকোল মিশ্রিত ক্রিম ব্যবহার করুন। দেখবেন বলিরেখা চটপট দূরে হবে। সপ্তাহে একবার চারকোল প্যাকও ব্যবহার করতে পারেন।
চুলের ক্ষেত্রেও দারুণ কাজ করে চারকোল। চুল পড়া, অকালপক্কতা, খুসকির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চারকোল শ্য়াম্পু ব্যবহার করুন।
তবে হ্যাঁ, প্রথমবার ব্যবহারের পর যদি ত্বকে ব্রণ হয়, তাহলে ব্যবহার করা বন্ধ করে দিন। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিন।