ই-ভিসায় ঘুরে আসুন তুরস্ক
Tweet
বিশ্বের জনপ্রিয় গন্তব্যগুলির মধ্যে তুরস্ক অন্যতম। পৃথিবীর বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় তুরস্কের অবস্থান ১৯তম। তুরস্কের অর্থনীতিতে পর্যটন খাত অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম কাউন্সিলের (ডব্লিউটিটিসি) সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুসারে, তুরস্কের ভ্রমণ ও পর্যটনের জিডিপি আগামী দশকের মধ্যে বার্ষিক গড় ৫.৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, যা দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির ২.৫ শতাংশ বৃদ্ধির হারের দ্বিগুণেরও বেশি।
প্রতি বছর ৫২ মিলিয়ন পর্যটক তুরস্কে ভ্রমণ করেন। একজন পর্যটক তার সফরকে স্মরণীয় রাখতে যা চায় তার সবই তুরস্কে বিদ্যমান রয়েছে- চমৎকার ও বৈচিত্রপূর্ণ খাবার, প্রাচীন ইতিহাস, ঐতিহাসিক ও প্রাকৃতিক স্থান, বালুকাময় সৈকত এবং বিশ্ব বিখ্যাত তুর্কি আতিথেয়তা।
বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য তুরস্ক অনলাইন বা ই-ভিসা চালু করেছে। ই-ভিসা হল ইলেকট্রনিক ভিসা অনুমোদন ব্যবস্থা। ২০১৩সাল থেকে বিশ্বের প্রায় ১শ’টি দেশ ই-ভিসা সুবিধা ব্যবহার করছে। অনলাইন ভিসার মাধ্যমে ভ্রমণকারীরা গন্তব্য দেশের দূতাবাস বা কনস্যুলেটে ব্যক্তিগতভাবে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হয় না।
তুরস্কের ভিসা নীতি অনুসারে, বাংলাদেশি পর্যটক এবং ব্যবসায়ীদের তুরস্ক ভ্রমণে ইলেকট্রনিক ভিসা (ই-ভিসা) আবেদনের জন্য পাসপোর্টের বৈধতার মেয়াদ কমপক্ষে ছয় মাস থাকতে হবে। এ ছাড়া ই-ভিসা ফি প্রদানের জন্য ক্রেডিট কার্ড, তুরস্কে যাওয়া ও ফিরে আসার বিমান টিকিট, হোটেল রিজার্ভেশন এবং আর্থিক সচ্ছলতার প্রমাণপত্রসহ ভিসার ধরণ অনুযায়ী অন্যান্য ডকুমেন্টস।
ভিসা আবেদন নিজে করাই ভালো, তবে নিজে ভিসা আবেদন করতে সক্ষম না হলে আস্থা রাখা যায় এমন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নিতে হবে। তবে সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে সার্ভিস চার্জ প্রযোজ্য।