ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট । ওজন কমানোর জন্য উপযুক্ত ডায়েট চার্ট
Tweet
ওজন কমানোর রেসে অনেকেই নিশ্চয় দৌঁড়াচ্ছেন! তবে কাঙ্খিত ফলাফল পাচ্ছেন না! কারণ সঠিক উপায়ে ডায়েট না করলে ওজন সহজে কমবে না।
এজন্য ডায়েট করার জন্য আপনার শরীর কতটা প্রস্তুত তা আগে জানতে হবে। পাশাপাশি শরীর বুঝে ডায়েট করতে হবে।
ওজন কমাতে গিয়ে অনেকেই হয়ত, অল্প দিনে কীভাবে ওজন কমানো যায়? সে বিষয়ক বিভিন্ন ডায়েট চার্ট জানতে চান! তেমনই এক ডায়েট প্ল্যান হলো ‘মিলিটারি ডায়েট’।
এ ডায়েট অনুসরণ করলে আপনি ৩-৭ দিনের মধ্যে ৩-৪ কেজি ওজন কমাতে পারবেন সহজেই। চলুন জেনে নেওয়া যাক এই ডায়েট সম্পর্কে-
মিলিটারি ডায়েট কী?
মিলিটারি ডায়েট তৈরি করেছেন পুষ্টিবিদরা। একে মিলিটারি ডায়েট, নেভি ডায়েট, আর্মি ডায়েট বা আইসক্রিম ডায়েটও বলা হয়। সাধারণ খাবারের মাধ্যমেই এ ডায়েট করা যায়, সঙ্গে খরচও কম।
পুষ্টিবিদদের দেওয়া এ ডায়েট চার্ট বিভিন্ন দেশের সেনা সদস্যরা সঠিক ওজন বজায় রাখতে অনুসরণ করেন। এ ডায়েটে, সপ্তাহে ৩ দিন কম ক্যালোরির স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হয়। সপ্তাহের বাকি ৪ দিন এ ডায়েট অনুসরণ করার প্রয়োজন হয় না।
যেভাবে শুরু করবেন
এ ডায়েটের ক্ষেত্রে এমন খাবার থাকে; যার প্রভাবে ফ্যাট বার্ন হয়। পাশাপাশি মেটাবলিজম শুরু হয়, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
মিলিটারি ডায়েটের মাধ্যমে শরীর থেকে দ্রুত চর্বি দূর করা যায়। ৪ দিন আপনি যখন ডায়েট বন্ধ রাখবেন; তখন ১৩০০ থেকে ১৫০০ ক্যালোরির মধ্যে খাবার গ্রহণ করতে হবে।
শাক-সবজির পাশাপাশি প্রোটিনের পরিমাণও রাখতে হয় এ ডায়েটে। কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণও খুব কম রাখতে হবে।
রইলো ৩ দিনের মিলিটারি ডায়েট প্ল্যান-
প্রথম দিন
>> ব্রেকফাস্ট- আধা কাপ আঙ্গুর, ১টি টোস্ট, ২ চা চামচ পিনাট বাটার এবং চা-কফি।>> লাঞ্চ- আধা কাপ মাছ, ১টি টোস্ট স্লাইস, কফি-চা।>> ডিনার- যেকোনো মাংসের ২টি টুকরো, ১ কাপ সবুজ মটরশুটি, ছোট ১টি কলা, ১টি ছোট আপেল এবং ১ কাপ ভ্যানিলা আইসক্রিম।
দ্বিতীয় দিন
ব্রেকফাস্ট- ১টি ডিম, ১টি টোস্ট স্লাইস, ছোট ১টি কলা।লাঞ্চ- ১ কাপ পনির, ১টি সেদ্ধ ডিম, ৫টি ক্র্যাকার বিস্কুট।ডিনার- ২টি হট ডগ, ১ কাপ ব্রোকোলি, আধা কাপ গাজর, ছোট ১টি কলা এবং আধা কাপ ভ্যানিলা আইসক্রিম।
তৃতীয় দিন
ব্রেকফাস্ট- ৫টি ক্র্যাকার বিস্কুট, ১ টুকরো পনির, ১টি ছোট আপেল।লাঞ্চ- ১টি সেদ্ধ ডিম, ১টি টোস্ট স্লাইস।ডিনার- ১ কাপ মাছ, ছোট ১টি কলা, ১ কাপ ভ্যানিলা আইসক্রিম।
কিছু বিষয় মাথায় রাখবেন-
>> প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে।
>> চিনি মেশানো হেলথ ড্রিঙ্ক বা ফ্রুট জুস ইত্যাদি খাওয়া যাবে না।
>> ফ্যাট এবং কার্বোহাইড্রেটে কমিয়ে প্রোটিন এবং শাকসবজি খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে।
>> এ ডায়েট অনুসরণের আগে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিতে হবে।
>> একটানা এ ডায়েট মেনে চলা উচিত নয়। এতে শরীরে বিভিন্ন উপাদানের ঘাটতি হতে পারে।
মনে রাখবেন, ওজন কমানোর আগে অবশ্যই শরীরে কোনো দীর্ঘমেয়াদী রোগ আছে কি-না জেনে নিন। এ ছাড়াও আপনার ওজন কেন বাড়ছে বা কমছে না, সে বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা থাকা জরুরি।