জি২০ সম্মেলনে পুনরুজ্জীবিত হবে বালির পর্যটন!
Tweet
ইন্দোনেশিয়ার বালিতে বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতির বিশ দেশের শীর্ষ নেতারা বার্ষিক জি২০ সম্মেলনে একত্রিত হবেন। ‘রিকভার টুগেদার, রিকভার স্ট্রংগার’ প্রতিপাদ্যে ১৫-১৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত সম্মেলন কেন্দ্র করে বালির পর্যটন খাতের পুনরুজ্জীবন ঘটার সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়া জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য। পর্যটন আকর্ষণে এশিয়ার রাষ্ট্রগুলির মধ্যে ইন্দোনেশিয়া অন্যতম। ইন্দোনেশিয়ার জিডিপিতে পর্যটনের অবদান ৫শতাংশ। কোভিড মহামারির আগে ২০১৯ সালে ১৫.৫মিলিয়ন পর্যটক ইন্দোনেশিয়া ভ্রমণ করে যা আগের বছর অর্থাৎ ২০১৮সালের তুলনায় প্রায় ২মিলিয়ন বেশী।
২০২০ সালের মার্চ মাসে ইন্দোনেশিয়ার প্রথম করোনা রোগী সনাক্ত হয়। বালিসহ ইন্দোনেশিয়ার পর্যটন শিল্পের দৃশ্য বদলে যায়। করোনা সংক্রমণ রোধে বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। পর্যটনগন্তব্যগুলো পর্যটক শূন্য হয়ে পড়ে। করোনা মহামারীতে সবচে ক্ষতিগ্রস্থ হয় পর্যটন দ্বীপ বালি।
করোনা মহামারীর আগে প্রতি বছর গড়ে ৬মিলিয়ন পর্যটকের গন্তব্য ছিল বালি দ্বীপ। কিন্তু ২০২০ সালে বালিতে পর্যটকের সংখ্যা ১মিলিয়নে নেমে আসে এবং ২০২১সালে মাত্র কয়েক ডজন পর্যটক বালি ভ্রমণ করে। বহু রেস্তরা ও রিসোর্ট বন্ধ হয়ে যায়।
ইন্দোনেশিয়া সরকারের তথ্য অনুসারে কোভিডের কারণে পর্যটন শিল্পে নিযুক্ত ৯২হাজার দক্ষ ও অদক্ষ কর্মী চাকরি হারায়, যাদের অধিকাংশই বালি দ্বীপের পর্যটন খাতের সাথে সম্পৃক্ত ছিল। বর্তমানে দ্বীপের হোটেলগুলোর ২০শতাংশ রুমও ব্যবহৃত হচ্ছে না।
বালি প্রদেশের আঞ্চলিক সচিব দেবা মাদে ইন্দ্র জানান, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে ইন্দোনেশিয়ায় অর্থনৈতিকভাবে সবচে ক্ষতিগ্রস্থ অঞ্চল বালি প্রদেশ।
দীর্ঘদিন পর্যটক শূন্য থাকার পর জি২০ সম্মেলন কেন্দ্র করে বালির বিমানবন্দরটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। দ্বীপের বিভিন্ন অঞ্চলের হোটেল ও রেস্তরাসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসাকেন্দ্রগুলি ধীরে ধীরে খুলছে।
জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত কয়েক হাজার বিদেশী পর্যটক বর্তমানে বালি দ্বীপে ভ্রমণ করছে। সম্মেলন উপলক্ষ্যে আয়োজিত বিভিন্ন ইভেন্ট পর্যটনসংশ্লিষ্টদের আশান্বিত করে তুলছে।