নীল হীরার শোক ভুলে সৌদি-থাই পর্যটন চুক্তি
Tweet
নীল হীরা কাণ্ডের ঘটনা ভুলে তিন দশক পর সৌদি আরব ও থাইল্যান্ড পারস্পরিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধারে সচেষ্ট হয়েছে। এই ধারাবাহিকতায় দেশ দুটি জ্বালানি ও পর্যটন খাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ জোরদার করার লক্ষ্যে একাধিক দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
আজ শুক্রবার ১৯নভেম্বর থাইল্যান্ডে সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এবং থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রয়ুথ চান-ওচার সভাপতিত্বে এই চুক্তিসমূহের স্বাক্ষর সম্পাদন করা হয়। উল্লেখ্য, সৌদি যুবরাজ আমন্ত্রিত বিশেষ অতিথি হিসেবে ব্যাংককে শুরু হওয়া এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কোঅপারেশন (APEC) নেতাদের সম্মেলনে যোগ দিয়েছন।
রূপকল্প ২০৩০ বাস্তবায়নে সৌদি আরব তেল নির্ভর অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আনতে পর্যটন, কৃষি, খাদ্য উৎপাদন এবং টেকসই বিনিয়োগকে সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করেছে। তিন দশকের দূরত্ব ভুলে থাইল্যান্ডের সাথে শীতল সম্পর্ক অবসান রূপকল্প বাস্তবায়নের কৌশলগত অংশ। যুবরাজ মোহাম্মদ সালমানের আমন্ত্রণে থাই প্রধানমন্ত্রী মিঃ চ্যান-ওচা চলতি বছরের জানুয়ারিতে সৌদি আরব সফর করলে দুই দেশের পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরায় স্থাপন হয়।
সৌদি-থাই চুক্তির ফলে থাইল্যান্ডের জ্বালানি খাত এবং মেডিক্যাল ট্যুরিজম ব্যাপক লাভবান হবে। অপরপক্ষে সৌদি আরবের পর্যটন ও জ্বালানি খাতে উন্নয়নের পাশাপাশি এই বিনিয়োগ ও সহযোগিতা তেল নির্ভর অর্থনীতিতে টেকসই বৈচিত্র্য আনবে।
প্রসঙ্গত, রাজা ফাহদের বড় ছেলে যুবরাজ ফয়সালের জন্য নিয়োগকৃত একজন থাই পরিচ্ছন্নতা কর্মী ১৯৮৯ সালে ৫০ ক্যারেটের নীল হীরাসহ মূল্যবান গহনা চুরি করলেও থাই কর্তৃপক্ষ ওইসব মূল্যবান সামগ্রী ফিরিয়ে দেবার উদ্যোগ গ্রহনে করে নাই। একই বছর ব্যাংককে তিন সৌদি কূটনীতিককে গুলি করে হত্যা করা হলে উভয় দেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। সৌদি আরবের পক্ষ থেকে আশাব্যঞ্জক সাড়া না পাওয়ায় তিন দশক ধরে সম্পর্ক শীতল ছিল। বর্তমানে নীল হীরার মনোমালিন্য ভুলে উভয় দেশ পারস্পরিক সম্পর্ক অর্থবহ করতে সচেষ্ট রয়েছে।