বিশ্বকাপ কাতারে, হোটেল পূর্ণ আমিরাতে
Tweet
ক্রীড়া পর্যটনের সুফল ভোগ করতে শুরু করেছে মধ্যপ্রাচ্য। বিশ্বকাপ ফুটবল ২০২২ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত আসর বসছে কাতারে, কিন্তু ইতিমধ্যে দুবাই ও আবু ধাবির হোটেলগুলি রিজার্ভ/বুকড হয়ে গেছে।
কাতারে বিশ্বকাপ ফুটবল এবং দুবাইতে ফর্মূলা ১ রেস প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে দুবাই এবং আবু ধাবিতে বিদেশী অতিথিরা আসতে শুরু করেছে। এই দুই শহরের শতভাগ হোটেল পূর্ণ হয়ে যাওয়া একটি রেকর্ড। ইয়াস দ্বীপের কিছু বিলাসবহুল কটেজে দুই রাত থাকার জন্য গুনতে হবে ৪৫হাজার থেকে ৯০হাজার দিরহাম।
আরব আমিরাতের নামজাদা হোটেল ক্রাউন প্লাজা দুবাই মেরিনারের জেনারেল ম্যানেজার তামারা সালহা জানান, “বিশ্বকাপের পুরো সময়কালের জন্য ক্রাউন প্লাজা দুবাই মেরিনারের স্ট্যান্ডার্ড রুমগুলি বুকড হয়ে গেছে।”
হলিডে ইন দুবাই এবং স্টেব্রিজ সুইটস দুবাই আল-মাকতুম বিমানবন্দরের ক্লাস্টার হোটেল ম্যানেজার সিলভিয়া মাতেই বলেছেন: “আমাদের রুমের রেট ইতিমধ্যে আগের মাসের তুলনায় 20 শতাংশ বেড়েছে।”
আমিরাতের নেতৃস্থানীয় হোটেল মালিকদের তথ্য অনুসারে দুবাই এবং আবু ধাবির পাঁচ-, চার ও তিন-তারকা হোটেলগুলির প্রায় সমস্ত স্ট্যান্ডার্ড রুম সম্পূর্ণ বুকড হলেও দামী ডিলাক্স রুম এবং প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুটগুলির কিছু কিছু এখনও বুকের জন্য তৈরী আছে। সাধারণ দিনে এই রুমগুলির জন্য ৫শ থেকে ১৫শ দিরহাম ব্যয় হলেও এখন নূন্যতম ৩হাজার দিরহাম ব্যয় হবে।
প্রসঙ্গত, বিশ্বকাপ ফুটবল উপলক্ষ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত ফুটবল অনুরাগীদের জন্য ৯০দিন মেয়াদের মাল্টি এন্ট্রি ভিসা চালু করে। যাদের কাছ বিশ্বকাপ ম্যাচের টিকিট রয়েছে তাদের ভিসা ফি’তে বিশেষ ডিসকাউন্ট দেওয়া হয়েছে। কাতারে গিয়ে যেন ফুটবল ম্যাচ উপভোগ করতে সমস্যা না হয় তার জন্য শ্যাটল ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে বিশাল সংখ্যক ফুটবল অনুরাগী কাতারের পরিবর্তে আমিরাতে অবতরণ করছে। দোহা থেকেও অনেকে পর্যটন শহর দুবাই ও আবু ধাবিতে উড়ে আসছে। দুবাই এবং আবু ধাবির বিভিন্ন পর্যটন গন্তব্যে বিশ্বকাপের ম্যাচগুলি প্রদর্শনের ব্যবস্থা করায় ক্রীড়া পর্যটকদের অনেকেই দুবাই এবং আবু ধাবিতে বসেই বিশ্বকাপ উপভোগ করবে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলি তেল নির্ভর অর্থনীতিতে বৈচিত্র আনতে অন্যান্য খাতের সাথে পর্যটন খাতকে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেছে। ইতিমধ্যে পর্যটনের অন্যতম ধারা ক্রীড়া পর্যটনের ফসল ঘরে তুলছে মধ্যপ্রাচ্য। বিশ্বকাপ ফুটবল কেন্দ্র করে মধ্যপ্রাচ্যের পর্যটন ব্যস্ততম সময় অতিবাহিত করছে।
তথ্যসূত্র : আমিরাত ও কাতারের বিভিন্ন গণমাধ্যম।