ফোড়া কি এবং কেন হয় এবং এর ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিভাবে সারিয়ে তোলা যায়

Share on Facebook

আমাদের প্রত্যেকের শরীরে বিভিন্ন জায়গাতে করা হয়ে থাকে। ফোরা ফলে তৎকালীন মাদের খুব সমস্যা হয়।  এই ফোরা আমাদের শরীরে মাঝে মাঝে কেন হয়। আমাদের ত্বকে ছোট এবং শক্ত একটা পিনডো হয় এবং এটা আস্তে আস্তে বড় হয় এবং নরম হতে থাকে আরএকে ফোরা বলে।ফোড়া হলে আমাদের খুব ব্যথা যন্ত্রণা হয় বিশেষ করে ছোটদের হলে তারা এর যন্ত্রণা সহ্য করতে পারে না খুব কষ্ট হয়।

এই ফোরা হলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ভাল হয়ে যায় কিন্তু যদি পড়ার মধ্যে পুঁজ জমে থাকে তখন সেই ফরাকে আমরা বিষফোঁড়া বলে থাকি এবং এর খুব তীব্র যন্ত্রণা হয়। আমাদের মুখে ,বগলে , কাঁধে,  বিভিন্ন জায়গাতে হয় আর চোখের পাতায় যে ফোরা হয় তাকে আমরা আজনি বলি।

সঠিকভাবে কাটা অথবা পরিষ্কার করতে না পারলে এই অবস্থা খুব খারাপ হয় এবং এর সংক্রমণ ও ত্বকের ভেতর এর কষে এবং রক্ত প্রবাহ ছড়িয়ে যেতে পারে। আর এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে আমাদের বমি বমি হয় ব্যথা হয় জড়ো হওয়া এবং ত্বক লাল হয়ে যায়।

ফোঁড়া কেন হয়

আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে তখন এর ফলে করা হয় আবার ডায়াবেটিস থাকলেও ফোরা হয় ।আমাদের শরীর যদি অপরিষ্কার থাকে অপরিচ্ছন্নতা থাকে এবং পুষ্টির ঘাটতি হয় তখনও ফোড়া হয় । আবার কিছু রাসায়নিক দ্রব্যের সংস্পর্শের কারণে ফোড়া হয়ে থাকে। চলুন আমরা দেখে নিএই ফোরা সারিয়ে তোলার ঘরোয়া পদ্ধতি।

নিমপাতা

নিম পাতা আমাদের ত্বকের সংক্রমণ রোধ করতে পারে কারণ এর মধ্যে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, এন্টিসেপটিক,এছাড়া অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান থাকে যা খুব সহজেই আমাদের ত্বকের সমস্যা দূর করে দেয়। আপনি একমুঠো নিমপাতা নিন এরপর ভাল করে ভালো করে ধুয়ে নিন এবং তারপরে নিমপাতা টা ভালো করে পেস্ট করুন তারপর ফোড়ার উপর ভালো করে লাগিয়ে দিন । এছাড়া আপনি একমাত্র নিমপাতা নিয়ে সিদ্ধ করুন তারপর সিদ্ধ হয়ে গেলে এই মিশ্রণটি একটু ঠাণ্ডা হতে দিন এবং  তারপর ফোঁড়ার উপরে আস্তে আস্তে লাগিয়ে দিন আপনি এভাবে দিনে চার থেকে পাঁচবার করুন।

হলুদ

হলুদ যেমন আমরা গায়ে মাখি তেমনি আমরা হলুদ খেয়ে থাকি। হলুদ আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী কারণ এতে অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি এবং রক্ত বিশুদ্ধ করে উপাদান আছে যা আমাদের এই ফোড়াকে নিজে থেকেই গলে যেতে সহায়তা করে। ভালো ফল পাওয়ার জন্য এক চামচ হলুদ আর এক গ্লাস জল নিন তারপরে ভালো করে জলে মিশিয়ে খেয়ে নিন। অনেকেই আছে হলুদের গন্ধ নিতে পারে না খেতে পারে না তাই যারা হলুদ খেতে পারেন না তারা ভালো করে বেটে নিন। তারপর এই মিশ্রণটি ফোরার ওপর লাগিয়ে দিন ।

কালোজিরা

কালোজিরা ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে এর পাশাপাশি আমাদের ফোরা সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে। কালো জিরা গুঁড়ো ভাল করে জল দিয়ে ধুয়ে নিয়ে এটাকে বেটে নিয়ে তারপরে ফোঁড়ার উপরে লাগিয়ে দিন । এছাড়া আপনি কালোজিরার তেল ব্যবহার করতে পারেন কোন সমস্যা হবে না। আপনি গরম জলের সাথে হাফ চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে খেতে পারেন।

গরম ভাপ

আপনি যদি গরম ভাপ নেন তাহলে এই ফোরাকে ফেটে যেতে সাহায্য করে। আপনি যদি গরম জলে একটু নুন দেন তাহলে এর ব্যথা কমে যায় এবং পুঁজ বের হয়ে যায়। তারপর গরম জলে একটি নুন দিন, এবং একটি পরিষ্কার কাপড় জলে ভিজিয়ে দিন তারপর কাপরটি ভালো করে নিংড়ে নিন। তারপরে 10 থেকে 15 মিনিট ফোরার ওপরে রেখে দিন আপনি এভাবে তিন থেকে চার বার গরম ভাপ দিন। এবং ওই কাপর্টি পরের দিনে আর ব্যবহার করবেন না আবার ভালো কাপড় ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া আপনি টিটি অয়েল এবং পাউরুটি একটু গরম দুধে বা জলে ভিজিয়ে ফোড়াড় উপর লাগাতে পারেন। এছাড়া পেঁয়াজ-রসুন আলুর রস ও আমাদের ফোরা সারিয়ে তুলতে পারে।

এই উপাদান গুলো ব্যবহার করলে নরম হয়ে যায় এবং ব্যাকটেরিয়া বের হয়ে যায় এবং আমাদের ইনফেকশনও কমিয়ে দেয়। ফোরার মধ্যে যদি খুব ব্যথা হয় এবং যদিনা ফাটে তাহলে আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কিছু ফোরা আছে সেগুলো ও অক্ষতিকর এবং কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ভালো হয়ে যায়।

ফোরার চিকিৎসায় আরও বিভিন্ন ধরনের একটি উপাদান আছে এবং ফোড়া ফেটে গিয়েছে কিন্তু পাকছেনা একে বলে দরকচা তাই আপনি সেক্ষেত্রে মসুরের ডাল বেটে গরম করে দিতে পারেন

বিষফোঁড়া জ্বালা হলে আপনি জাল জার্মানির পাতা বেটে ফোঁড়ার উপরে ভালো করে লাগিয়ে দিন এর ফলে জ্বালা কিছুটা কমবে

পানের পাতা

আপনি একটি পানের পাতা নিবেন তার পরের পাতাটা ভাল করে জল দিয়ে ধুয়ে নেবেন তারপর সোজা দিকেঘি মাখিয়ে উনার উপর আস্তে করে বসিয়ে দিন এর ফলে ফোড়া ফেটে যায় ও ফাটে আপনি এইভাবে পানের উল্টোপিঠে পুরানো উপর বসিয়ে দিলেন টেনে বার করে শুকিয়ে দেয়।

এছাড়া আপনি ফোরা সারানোর আরও অনেগুলি ভেষজ উপাদান আছে

বিষফোড়ার উপর আপনি যদি রক্তচন্দন বা সাদা শ্বেত চন্দন ঘষা বা গোলমরিচ ঘষা মিশিয়ে চুলে লাগালে ভালো ফল পাবেন।

অর্জুন পাতা দিয়ে আপনি যদি ফোড়াডর উপর ঢাকা দেন এবং তারপরে বেল পাতার রস দিলে তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়।

অনেকে বলেন যে রক্ত খারাপ হয়ে গেলে ফোড়া হয়। আমাদের রক্ত দূষিত হলে আরো অনেক রকম রোগ আছে যেমন কণ্ঠ ও বাতি রক্ত  

অশ্বগন্ধার মূল এক থেকে দেড় গ্রাম মাত্রায় আমরা যদি আধকাপ গরম দুধের সঙ্গে সকালে বিকালে খেলে আমাদের রক্ত বিকারটা চলে যাবে এবং ফোরা হবে না।

আবার অনেকের ফোরা উঠতে দেরি হয় আবার পাকলেও দেরি হয়। কারো যদি নরম জায়গায় হয় তাহলে  কুশ মুল বেটে সামান্য গরম করে  দিয়ে দিন। আর যদি নরম জায়গায় না হয় অন্য জায়গায় হয় সেখানে সেঁক দিতে পারেনচে

ফোরার উপর আপনি ধুতরা পাতার রসের সঙ্গে একটু সামান্য ঘি মিশিয়ে দিয়ে ফোরার উপর লাগালে ভালো হয়। আর ফোরা বসাতে চাইলে বটের কচি পাতা বেটে লাগিয়ে দিতে পারলে ওটা বসে যায়।

Leave a Reply