নরসিংদীর বাবুরহাট পাইকারী শাড়ী-লুঙ্গির বাজার!
Tweet
ঢাকার বাড্ডা থেকে আসা গৃহবধূ লাভলী বেগম বলেন, নিজের পরিবার ও স্বজনদের জন্য অনেক কাপড় লাগে। কয়েক বছর ধরে আমি বাবুরহাট থেকে কাপড় কিনছি। এতে সময় ও অর্থ দুটোই সাশ্রয় হয়।
দেশের নামিদামি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাবুরহাটের ব্যবসায়ীরাও কাপড়ে এনেছেন আধুনিকতার ছোঁয়া। জে এম ক্লাসিক ফ্যাশনের ফ্যাশন ডিজাইনার শেখ সাদী বলেন, আমরা কাস্টমারদের পছন্দকে প্রাধান্য দিয়ে বিভিন্ন রঙের থ্রি-পিস, পাঞ্জাবি ও শাড়িতে বৈচিত্র্য এনেছি। সব পোশাকে আমাদের নিজস্ব ফেব্রিক্স ব্যবহার করেছি যা গুণগতমান সমৃদ্ধ ও আরামদায়ক।
পাইকারদের আনা গোনায় সরগরম থাকে বাবুরহাট। তবে ঈদের সময় পাইকারদের ভিড় থাকে বেশি। ব্যবসায়ী অবিনাশ বলেন, কিরণমালা, জারা গোল্ড ও মাছরাঙা থ্রি-পিসের চাহিদা বেশি। শুধু তাই নয়, এখানে লুঙ্গিও বিক্রি হয় ব্যাপকহারে। পাকিজা লুঙ্গি কালেকশনের ব্যবস্থাপক মেরাজুল হক বলেন, ক্রেতাদের চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরা লুঙ্গিতে নতুনত্ব আনি।
যা ৩৩০ টাকা থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। ক্রেতারা বাটিক ও হুইপ জ্যাকেট লুঙ্গি বেশি পছন্দ করেন। জজ ভূঞা গ্রুপের এমডি ইঞ্জিনিয়ার ফায়জুর রহমান ভূঞা জুয়েল বলেন, এবার সুতার দাম কম হওয়ায় বাজারে কাপড়ের দাম অন্যান্য বছরের তুলনায় কম। মূলত ঈদের সময় সবচেয়ে বেশি বেচাকেনা হয় বাবুরহাটে।
নরসিংদী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, শিল্প এলাকা নরসিংদীর হৃৎপিণ্ড হলো বাবুরহাট। পুরো জেলার ব্যবসায়ীরাই তাকিয়ে থাকেন বাবুরহাটের বেচাকেনার দিকে। কারণ বেচাকেনা ভালো হলেই ভালো থাকবে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত জেলার প্রায় সাত লাখ মানুষ।