তীরে এসে নৌকা ডুবালো বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। শেষ হাসি হাসলো বায়ার্ণ মিউনিখ।
Tweet
শেষ দিকে এসে বুন্দেসলীগা জমে উঠেছিল। লীগ শিরোপা নির্ধারণ ম্যাচ গড়িয়েছে শেষ দিন পর্যন্ত। সমীকরণ ছিল সিগনাল ইদুনা পার্ক নিজেদের মাঠে জিতে যেতে পারলেই লীগ চ্যাম্পিয়ন হবে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড।১১ বছর আগে সর্বশেষ লীগ শিরোপা জিততে পেরেছিলো ডর্টমুন্ড।এর পর কেটে গেলো ১০টি বছর।জিতা হয়নি কোনো লীগ শিরোপা।এর ভিতরেই খেলে বেড়িয়ে এসেছে কত নামিধামি খেলোয়াড়। তবুও যেন তারা ট্রফি জিততে পারেনি। এবার সেই সুযোগ পেয়েছিলো বরুশিয়া ডর্টমুন্ড।
ফুটবল ভক্রকূলেরা ধরেই নিয়েছিলো নিজেদের মাঠে শেষ ম্যাচ জিতে তাদের হারানো রাজ্য ফিরিয়ে আনবে নিজেদের কাছে। কিন্তু সেই কাজ করতে ব্যার্থ হয়েছে ডর্টমুন্ড। নিজেদের ঘরের মাঠে মাইনজের বিপক্ষে খেলতে নেমে শুরুতেই গোল হজম করে বসে ডর্টমুন্ড। কিছুক্ষণ পর পেনাল্টি পায় ডর্টমুন্ড। কিন্তু তাদের স্ট্রাইকার হ্যালার তা মিস করে বসে।এতেই খেলা চলে যায় মাইনজের হাতে। হাফ টাইমের আগে আরো এক গোল করে বসে মাইনজ। অন্যদিকে বায়ার্ণ মিউনিখ শুরুতেই গোল করে হাফ টাইমে যায়। বুন্দেসলীগার অবস্থা এরকম দাঁড়ায় যে যেভাবেই হউক ডর্টমুন্ডকে ৩ গোল দিয়ে জিততে হবে এছাড়া বায়ার্ণ মিউনিখকে ড্র করতে হবে।
হাফ টাইম পরে খেলার চিত্র পুরোপুরি ঘুরে যায়।বায়ার্ণ মিউনিখ গোল খেয়ে বসে অন্য দিকে ডর্টমুন্ড এক গোল পরিশোধ করে।কিন্ত এই অবস্থাতেই ডর্টমুন্ড লীগ শিরোপা জিতার স্ব্বপ্ন দেখা শুরু করে। এমতাবস্থায় বর্তমান বিশ্বের ফুটবল রাইজিং স্টারদের মধ্য অন্যতম বায়ার্ণ মিউনিখের ওয়ান্ডার কিড জামাল মুসিয়ালা বক্সের কাছাকাছি থেকে গোল দিয়ে বসে।আর ২-১ লিডে চলে যায় বায়ার্ণ মিউনিখ। অন্যদিকে ইদুনা পার্কে হতাশায়, প্রার্থনায় সময় গুনছে ডর্টমুন্ড ভক্তরা ও খেলোয়াড়গণ।
- শেষ দিকে অতিরিক্ত সময়ে সুলের গোলে ২-২ ড্র নিয়ে লীগ শিরোপা হাতছাড়া করে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। এরই সাথে লীগ জিতে নেয় জার্মানির সেরা ক্লাব বায়ার্ণ মিউনিখ। তারা টানা ১১ বছর লীগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
ডর্টমুন্ড অধিনায়ক মার্কো রুয়েস তিনি ফুটবলারদের মধ্য লয়ালিটি দিয়ে অনেক প্রশংসা পেয়েছেন।তিনি বার্সেলোনা,রিয়াল মাদ্রিদ,বায়ার্ণ মিউনিখের মত ক্লাবের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়েও তিনি ডর্টমুন্ড ছেড়ে যাননি।তিনি ডর্টমুন্ড এর হয়ে কোনো লীগ শিরোপা জিততে পারেননি। তার সাথে অনেক খেলোয়াড় খেলে গিয়েছেন যারা এখন বড় ক্লাবে খেলার পাশাপাশি অনেক শিরোপা জিতে চলেছে। তিনি ডর্টমুন্ড এর হয়ে লীগ শিরোপা জিতার কাছাকাছি এসেও জিততে পারেননি। ছুঁয়ে দেখা হয়নি সেই লীগের শিরোপাটি।বিধাতার করুণ ভাগ্য তাকে মেনে নিতে হয়।
একদিকে যেমন কান্নার রুল পরেছে অন্যদিকে হাসিতে পুরো মাঠ ছেয়ে গিয়েছে।আনন্দ,উদযাপনে ব্যাস্ত প্রতিটি বায়ার্ণ খেলোয়াড়।