হিমালয়ের কোলে একচিলতে গ্রাম ‘’ ফাগু’’
Tweet
ঘিঞ্জি শহরের কোলাহল থেকে পালিয়ে শান্তির নিরালায় আশ্রয় নিতে পালিয়ে যেতে পারেন পাহাড়ের কোলে সবুজ উপত্যকা ফাগু-তে। সিমলার অন্যতম উঁচু পাহাড়ি এলাকাটি তিব্বতের খুব কাছে অবস্থিত। হাতের নাগালেই পাওয়া যায় তুষারবৃত হিমালয়কে।
হিমাচল প্রদেশে অনেকেই ঘুরতে গিয়েছেন। সিমলা-কুলু-মানালি চিরাচরিত ভ্রমণতালিকার বাইরে অন্য কোথাও যাওয়ার ভাবেননি কখনও। তাহলে জেনে রাখুন, কুলু-মানালির বাইরেও রয়েছে আরও একটি সুন্দর জায়গা, যেখানে দুচোখ ভরে আরও কাছ থেকে শুধুই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে পাবেন। হিমাচলে ঘুরতে গেলে ফাগু নামে একটি সুন্দর জায়গা পা দিতে ভুলে যান অধিকাংশ।
কী কী দেখবেন
– সিমলা-কুফরিতে ঘুরতে গেলে ফাগু রাখুন তালিকায়। কুফরি থেকে ৪ কিমি দূরে অবস্থিত এই গ্রামে গরমকালে পর্যটকদের আনাগোনা বেশি হয়। শীতকালে, ফাগু থেকে বেশ কিছুটা দূরে রয়েছে স্কেটিংয়ের ব্যবস্থা। রয়েছে নেচার পার্ক, মিনি চিড়িয়াখানাও। পাহাড়ি ঘোড়ার পিঠে চেপে বরফের উপর প্রাকৃতিক শোভা দেখার সুযোগ পাবেন এখানে।
– ফাগু থেকে কিছুটা দূরেই রয়েছে চেইল। এখানে পাতিয়ালা মহারাজের প্রাসাদ রয়েছে, যা পর্টকদের জন্য অন্যতম আকর্ষমীয় স্থান। ধর্মশালা থেকে কিছু দূরেই অবস্থিত বিশ্বের উচ্চতম ক্রিকেট মাঠ।
– লাল ও সুমিষ্ট আপেলের জন্য বিখ্যাত হাতুরেও যেতে পারেন। ফাগু থেকে অল্প দূরত্ব। আপেলের বাগান ঘুরে দেখার সুযোগ রয়েছে। কোটগড় ও থানেধরের আপেল বাগানের সুনাম রয়েছে দেশে-বিদেশে।
– হিন্দুস্তান তিব্বত রোজ ধরে সোজা চলে যেতে পারেন নারকান্দায়। ফাগু থেকে মাত্র ৪২ কিমি দূরে। সারি সারি সবুজ পাইন গাছ, পাহাড়ি নদী, পাহাড়ের ভয়ংকর সুন্দর দৃশ্য আপনি ক্যামেরাবন্দি করতে পারবেন অনায়াসেই।
কীভাবে যাবেন-
ট্রেনে করে যেতে হলে, হাওড়া থেকে সিমলা যাোয়ার চ্রেন ধরুন। সিমলা থেকে ফাগুর দূরত্ব মাত্র ২২ কিমি। সিমলা স্টেশন থেকে প্রচুর গাড়ি রয়েছে। গাড়ি ভাড় করে ফাগু পৌঁছে যেতে পারেন। এছাড়া বিমানে করে যেতে চাইলে জুব্বারহাট্টি বিমানবন্দরে নেমে সেখান থেকে ফাগু পৌঁছে যেতে পারেন।
কোথায় থাকবেন
ফাগুতে থাকার জন্য ছোট-বড় সবরকম বাজেটেরই হোটেল মিলবে। রিসর্টও রয়েছে এখানে। হোটেল থেকেই আপনি ফাগু ও চারপাশের এলাকা ঘুরে দেখার গাড়ি পেয়ে যাবেন। রয়েছে সুন্দর খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থাও। আতিথেয়তার সুনাম আছে।
করবেন না
গ্রামটি অত্যন্ত পরিষ্কার, তাই যেখানে সেখানে ময়লা ফেলবেন না। গ্রামে শান্তির পরিবেশ বজায় রাখুন।
সঙ্গে রাখুন
ওষুধপত্র, পরিচয়পত্রর মতো গুরুত্বপূর্ণ সবকিছু হাতের কাছে রাখুন। প্রয়োজনে শহর থেকে ওষুধ সঙ্গে নিয়ে যান। সঙ্গে রাখুন শীতবস্ত্র, মশা তাড়ানোর তেল।