৭০৫ খ্রিষ্টাব্দের হোটেলটি চলছে এখনো
Tweet
অনেকেই বিলাসবহুল হোটেলে সময় কাটাতে পছন্দ করেন। কিন্তু সবচেয়ে পুরোনো হোটেল সম্পর্কে জানেন কি? ৭০৫ খ্রিষ্টাব্দে চালু হওয়া একটি হোটেল আজও বন্ধ হয়নি। এখনো পর্যটক আকর্ষণ করে চলেছে পুরোনো ঐতিহ্যবাহী এই হোটেল। এর নাম নিশিয়ামা ওনসেন কিয়ুনকান। এটি জাপানের মাউন্ট ফুজির কাছাকাছি অবস্থিত। প্রাচীনতম হোটেল হিসেবে ২০১১ সালেই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে এটি।
হোটেলটির জাপানি ঐতিহ্যবাহী সৌন্দর্য এবং সমৃদ্ধ ইতিহাস মানুষকে দূরদূরান্ত থেকে টেনে আনে এখানে। এখানে কেইউনকানের বিখ্যাত গরম পানিতে গোসলের ব্যবস্থা আছে। অতিথিদেরও সরাসরি ঝরনা থেকে পানি পান করার সুযোগ রয়েছে এই হোটেলে।
হোটেলটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে ৫২টি প্রজন্ম ধরে একই পরিবারের মালিকানাধীন। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম এই হোটেল পরিচালনা করে আসছে। তবে আধুনিক প্রজন্মের হাতে এর দায়িত্বভার আসার পর থেকে হোটেলটিতে আধুনিক বৈশিষ্ট্যও যুক্ত হয়েছে। তবে হোটেলটির পুরোনো কাঠামো ও ঐতিহ্য ধরে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। ফুজিওয়ারা মাহিতো ১ হাজার ৩০০ বছরের বেশি আগে এখানে সরাইখানা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাঁর বাবা ছিলেন জাপানের সম্রাট তেনজির ঘনিষ্ঠ। মাহিতোর পর থেকে তাঁর বিভিন্ন প্রজন্মের উত্তরাধিকারী হোটেলটি পরিচালনা করে আসছেন।
হোটেলটি যখন চালু হয়, তখন জাপানে মুদ্রার প্রচলন হয়নি। তাই ঘর ভাড়া নিতে চাল, তীর এগুলো দিতে হতো। হোটেলটি আধুনিক করা হলেও এর ঐতিহ্যবাহী ‘অনসেন’ বা উষ্ণ ঝরনার গোসল এখনো চালু রয়েছে। বর্তমানে হোটেলটির যে কাঠামো, তা ১৯৮৩ সালে তৈরি করা হয়। এরপর ১৯৯৭ সালে আবার এটি নতুন করে সাজানো হয়। হোটেলটিতে ৩৭টি কক্ষ রয়েছে। এতে ঐহিত্যবাহী জাপানি আসবাব, প্রতিটি কক্ষে গোসলের সুবিধা রয়েছে। এ ছাড়া বারান্দায় বসে নদী ও পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। পাঁচটি উষ্ণ ঝরনা থেকে হোটেলে পানি সরবরাহ করা হয়। হোটেলের একটি কক্ষে রাত কাটাতে খরচ হবে বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬৪ হাজার টাকা। এর মধ্যে দুবার খাবার পাওয়া যাবে।