পাসপোর্টে বয়স কমিয়ে বিপাকে কুয়েত প্রবাসীরা
Tweet
কুয়েতে পাসপোর্টের তথ্য সংশোধন ও বয়স কমিয়ে বিপাকে পড়েছেন বাংলাদেশি প্রবাসীরা। সংশ্লিষ্টরা জানান, কুয়েত সরকার আকামা সংক্রান্ত একটি আইন করেছে। এর ফলে সাধারণ প্রবাসীদের বয়স ৬০ বছরের বেশি হলে আকামা নবায়ন করা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন অনেক প্রবাসী।
প্রবাসীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পাসপোর্টের বয়স বাড়িয়ে আগে কুয়েতে এসেছেন এমন প্রবাসীরা নতুন জন্মনিবন্ধন করে নিজেদের পাসপোর্টের বয়স সংশোধন করছেন। সংশোধিত নতুন পাসপোর্টে আকামা লাগানোর পরে কুয়েতের সিভিল আইডিতে পূর্বের জন্মতারিখ আসছে। পাসপোর্ট এবং কুয়েতের সিভিল আইডির জন্ম তারিখ ভিন্ন হওয়ায় ছুটিতে দেশে যাওয়া-আসায় ইমিগ্রেশনে ভোগান্তিতে পড়তে হয় কি না- এমন দুশ্চিন্তার মধ্যেও রয়েছেন পাসপোর্টের তথ্য সংশোধন করা প্রবাসীরা।
কুয়েতে বাংলাদেশ বিমানের স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মাদ শাহজাহান বলেন, আমাদের এয়ারলাইন্সে এখন পর্যন্ত বয়সের গরমিল নিয়ে ইমিগ্রেশনে আটকে রেখেছে- এরকম কোনো যাত্রী পাইনি। তবে পাসপোর্টের বয়সের সঙ্গে ব্যক্তির চেহারার অতিরিক্ত ব্যবধান হলে সেটা তখন ভিন্ন কথা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, বিশেষ প্রয়োজন না হলে পাসপোর্টের কোনো তথ্য বা বয়স সংশোধন না করাই ভালো। হয়ত ভাগ্য খারাপ হলে যাওয়া-আসার সময় জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে পারেন প্রবাসীরা। তখন সময়মতো সুপারিশ করার মতো ব্যবস্থা না থাকলে ভোগান্তিতে পড়তে হতে পারে।
কুয়েতে পাসপোর্টে তথ্য সংশোধন করা প্রবাসীদের একজন ঢাকার গাজীপুরের আব্দুস সাত্তার। ইমিগ্রেশনে সমস্যায় পড়তে হয় কি না- এই চিন্তায় স্ট্রোক করেছেন। তিনি বর্তমানে দেশটির মোবারক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এ প্রবাসী জানান, তার নতুন আকামা লাগানোর পরে সিভিল আইডিতে বয়স সংশোধন হয়নি। পরে তার অনুরোধে কুয়েতের বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরেন নিয়োগদাতা। কিন্তু আইনের বাধ্যবাধকতার কারণে বয়স ঠিক হয়নি। এটা সংশোধন করা ঝামেলা। তবে এতটুকু আশ্বস্ত করা হয়েছে যে যাওয়া-আসায় কোন সমস্যা হবে না।