দলের ফর্ম বাজে, তবে চাকরি নিয়ে উদ্বিগ্ন নন ডমিঙ্গো
Tweet
২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর স্টিভ রোডসকে সরিয়ে দেয় বিসিবি। সেই বছর সেপ্টেম্বর থেকে কাজ শুরু করেন ডমিঙ্গো। তার কোচিংয়ে শুরু হয় বিব্রতকর এক হার দিয়ে। টেস্টের নতুন দল আফগানিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে হেরে যায় বাংলাদেশ।
ডমিঙ্গো কোচ হয়ে আসার পর এই সংস্করণে কেবল একটি ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ, দেশের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ৯ ম্যাচের সাতটিতেই হেরেছে, ড্র একটিতে।
ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়ে ও খর্ব শক্তির ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তিন ম্যাচের দুটি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করেছে। নিজেরা হোয়াইটওয়াশড হয়েছে নিউ জিল্যান্ডে।
টি-টোয়েন্টিতে ১৪ ম্যাচের ৬টিতে জিতেছে বাংলাদেশ, এর চারটিই এসেছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ভারত ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় একটি করে।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে কিছু ম্যাচ হয়নি, তবে এক জন কোচকে বিচার জন্য ৩২ ম্যাচ একেবারে কম নয়। সেখানে ডমিঙ্গোর কোচিংয়ে দলের উন্নতির ছাপ খুব একটা মেলেনি। টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক এর মাঝে কয়েকবারই বলেছেন, টেস্টে আগের জায়গাতেই আছে বাংলাদেশ।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সবশেষ সিরিজে দ্বিতীয় টেস্টে আনকোরা এক বাঁহাতি স্পিনার ধসিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশকে। এরপর ডমিঙ্গোকে নিয়ে প্রশ্ন আরও উচ্চকিত হয়েছে।
উত্তাপটা হয়তো টের পাচ্ছেন ৪৬ বছর বয়সী এই কোচ। তবে মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কা থেকে ঢাকায় ফিরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি ইঙ্গিতে বোঝালেন, দায় শুধু কোচেরই নয়।
“সত্যি বলতে, না (প্রধান কোচ হিসেবে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত কি না)। ছেলেদের সঙ্গে কাজ উপভোগ করছি। এই সেট-আপ উপভোগ করছি। অবশ্যই কিছু কাজ আছে, যেগুলো করতে হবে।”
“আমার মনে হয়, আমরা যখন এখানে থাকি না, তখন ছেলেরা কেমন সুযোগ-সুবিধা পায়, ঘরোয়া ক্রিকেটের অবস্থা কেমন, সেদিকে তাকানোও জরুরি। অবশ্যই বাজে কিছু ফল হয়েছে। তবে এখন আমি ছেলেদের সঙ্গে আরও ভালোভাবে মিশতে পারছি এবং সামনে তাকিয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী।”