দীর্ঘক্ষণ হেডফোন ব্যবহারে যেসব ক্ষতি

Share on Facebook

স্মার্টফোন যেমন তুমুল জনপ্রিয় উপাদানে পরিণত হয়েছে, ঠিক তেমনই মোবাইল ফোনের সঙ্গে হেডফোনেরও চাহিদা পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। বাস, ট্রেন, এ প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের পাশাপাশি বয়স্কদেরও কানে ইয়ারফোন গুঁজে বসে থাকতে দেখা যায়। নানা ধরনের গ্যাজেট ব্যবহারের জন্য হেডফোন বেশ দরকারি। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ কানে হেডফোন দিয়ে রাখলে কানের অনেক ক্ষতি হয়। দীর্ঘক্ষণ কানে হেডফোন

দিয়ে থাকলে যেসব সমস্যা হতে পারে, তা নিয়ে লিখেছেন- সৈয়দ আসাদুজ্জামান আরমান

আমাদের কানের ভেতরের অংশে অর্থাৎ ইনার ইয়ারে থাকে ছোট ছোট লোম, বিজ্ঞানের ভাষায় যার নাম স্টেরিওসিলিয়া। আমরা যখন কোনো শব্দ শুনি তখন এ লোমগুলো কেঁপে ওঠে, এ কম্পন স্নায়ুর মাধ্যমে মস্তিষ্কে পাঠায় এক ধরনের বৈদ্যুতিক সংকেত। প্রতিনিয়ত যখন কেউ উঁচু ভলিউমে প্রতিনিয়ত কিংবা লম্বা সময় ধরে গান শোনেন, তখন স্টেরিওসিলিয়াতে স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে, যা শ্রবণশক্তি নষ্ট করে ফেলে। একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, টানা এক ঘণ্টার বেশি কেউ যদি কানে হেডফোন গুঁজে রাখেন, তবে তার শ্রবণক্ষমতা ধীরে ধীরে কমতে থাকে।

* নিজের হেডফোন অন্যের সঙ্গে শেয়ার করাটাও যৌক্তিক নয়। এর ফলে সবচেয়ে দ্রুত এবং সহজে ব্যাকটেরিয়াজনিত ইনফেকশন একজনের থেকে অন্যজনের দিকে ছড়াতে পারে।

* দীর্ঘ সময় হেডফোন পড়ে থাকলে কানের গহ্বরের ভেতরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে কানের ভেতরে ঘাম জমতে থাকে। এর থেকে ব্লাকহেড বা অ্যাকনে জন্মায়।

* দীর্ঘক্ষণ হেডফোন ব্যবহার করা থেকে ভার্টিগোর মতো সমস্যাও দেখা যেতে পারে। প্রায়ই বেশিক্ষণ হেডফোন ব্যবহার করলে বমিবমি ভাব, মাথা ঘোরা বা ঝিমঝিম ভাব অনুভূত হয়।

* ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন একটি গবেষণা করে দেখেছে, ব্লু-টুথ হেডফোন ব্যবহার করলে শরীরে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি রেডিয়েশনের প্রভাব পড়ে; যা খুবই ক্ষতিকারক।

* এনআইএইচএল বা নয়েজ ইনডিউসড হিয়ারিং লস সূত্র অনুযায়ী, সর্বোচ্চ শব্দমাত্রার ৬০ শতাংশের বেশি ভলিউম বাড়ানো কখনোই উচিত নয়।

* ১০০ ডেসিবল এবং তার চেয়েও বেশি মাত্রায় প্রতিদিন মাত্র ১৫ মিনিট কিছু শুনলে কানের স্থায়ী ক্ষতি নিশ্চিত। যেমন, স্মার্টফোন কিংবা স্পিকারের সর্বোচ্চ ভলিউমে গান শোনা।

Leave a Reply