এই প্রথম নারী পাইলটের নেতৃত্বে রিয়াদে গেলো আকাশবীণা
Tweet
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিভিন্ন পদে পাইলট থেকে শুরু করে কেবিন ক্রু হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বাংলাদেশের নারীরা। তবে এই প্রথম কোনো নারী পাইলটের নেতৃত্বে আকাশে উড়লো ড্রিম্লাইনার “আকাশবীণা”। এবছরের মে মাসে বিমান বাংলাদেশের বহরে যুক্ত হয় বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার।
গত ২৪ ডিসেম্বর রাতে বিজি-০৩৯ ফ্লাইটটি ঢাকা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সৌদি আরবের রিয়াদে পৌঁছায়। এ সময় ককপিটে পাইলটের আসনে দায়িত্ব পালন করেন আলিয়া মান্নান। তার পাশে বসা ছিলেন ফার্স্ট অফিসার মুনজারিন রাইয়ান। ফ্লাইট পরিচালনায় অন্যান্য বিভাগেও নেতৃত্ব দেন নারীরা। ড্রিমলাইনারের ফ্লাইটে এমন চিত্র দেখা গেলো প্রথমবার।
১৯৯২ সালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসে প্রথম গেজেটেড পাইলট হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন আলিয়া মান্নান। ২০০৮ সালে এয়ারবাস ও ২০১৪ সাল থেকে বোয়িং ৭৭৭ চালানো শুরু করেন তিনি। এবার ড্রিমলাইনার চালানোর অভিজ্ঞতা হলো। সাড়ে ১২ হাজার ঘণ্টা ফ্লাইট পরিচালনার অভিজ্ঞতা আছে তার।
শুক্রবার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আবারও ড্রিমলাইনার নিয়ে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে গেছেন আলিয়া মান্নান। যথারীতি ফার্স্ট অফিসার ছিলেন মুনজারিন রাইয়ান।
পাইলট হওয়ার জন্য পড়ালেখার পাশাপাশি ১৫০ ঘণ্টা বিমান নিয়ে ওড়ার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হয়। বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালানোর ক্ষেত্রে এরপর প্রয়োজন লাইন্সেস পাওয়ার পরীক্ষায় অংশ নেওয়া। এসব ধাপ পেরোতে গিয়ে অনেকেই ছিটকে পড়েন। তবে স্বপ্নপূরণের সব ধাপ পার করেছেন মুনজারিন রাইয়ান। ১৫০০ ঘণ্টা আকাশে ওড়ার অভিজ্ঞতা আছে তার। বিমানের বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজের ফার্স্ট অফিসার হিসেবে তিনি এখন কাজ করছেন। তার কথায়, ‘বাবা পাইলট ছিলেন বলে তার কাছ থেকেই আকাশে ওড়ার স্বপ্ন দেখেছি। বাংলাদেশ ফ্লাইং একাডেমিতে ভর্তি হওয়ার সময় বাবা সেখানে প্রশিক্ষক ছিলেন। প্রশিক্ষণ বিমানেও তার সঙ্গেই প্রথম ফ্লাই করেছি।’