ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করার ঘরোয়া উপায়
Tweet
যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ঠোঁট রাঙাতে গিয়ে ঠোঁটের ক্ষতি নিয়ে শঙ্কায় বহু নারী। নামকরা কম্পানির লিপস্টিক ও লিপগ্লস ব্যবহার করলেও সবার ত্বকে সব কিছু খাপ খায় না। সে কারণে সেদিকে নজর রাখাও গুরুত্বপূর্ণ।
ঠোঁটের কালচে দাগের পেছনে এটাই একমাত্র কারণ নয়। আর্দ্রতা হারালেও ঠোঁট বিবর্ণ হয়ে যায়। ঠোঁট কালো হয়ে যায়। ত্বকের মতো ঠোঁটেও একই ভাবে সানবার্ন হয়।
সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ঠোঁটকে রক্ষা করা খুবই জরুরি। নিয়মিত ধূমপানের অভ্যাসও কালো ঠোঁটের একটা বড় কারণ। সিগারেটের নিকোটিন ঠোঁটে প্রবেশ করে বিবর্ণ করে তোলে ঠোঁট। অতিরিক্ত চা-কফি পানের অভ্যাস থাকলে তা থেকেও ঠোঁটে হতে পারে কালচে দাগ।
ঠোঁটের কালচে দাগ দূর করে গোলাপি আভা ফিরিয়ে নিয়ে আসার কিছু প্রাকৃতিক ও সহজ পদ্ধতি রয়েছে। ঘরেই মিলবে এমন টুকিটাকি সামগ্রী ব্যবহার করলে পেতে পারেন সহজ সমাধান।
ত্বকের হারিয়ে যাওয়া ঔজ্জ্বল্য ফিরিয়ে আনতে মধুর কোনো জবাব নেই। ঠোঁটের ত্বকও এর ব্যতিক্রম নয়। কেবল কালচে ভাব দূর করতেই নয়, ঠোঁটের কোমলতা বজায় রাখতেও মধু ভীষণ উপকারী। ঘুমানোর আগে সামান্য মধু ঠোঁটে লাগিয়ে রেখে দিতে হবে সারা রাত। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ঠোঁটের রঙে পার্থক্য চোখে পড়বে।
চিনি দিয়ে স্ক্রাব করলে ঠোঁটের কালচে দাগ দূর হওয়ার পাশাপাশি মরা চামড়া দূর হয়। ২ চামচ চিনি ও ৩ চামচ মাখন একসঙ্গে মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। সপ্তাহে বার দুয়েক এই পেস্ট দিয়ে ঠোঁট স্ক্রাব করুন।
লেবুর রস খুব ভাল ব্লিচিং উপাদান। প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে তাজা লেবুর রস দিয়ে ঠোঁটে ভালো করে ম্যাসাজ করলে কালচে ভাব দূর হবে খুব সহজেই।
প্রতিদিন একবার করে ঠোঁটে বরফ ঘষতে পারে। এতে ঠোঁটের কালচে ভাব দূর হবে। বরফ ঠোঁটের আদ্রতার মাত্রা বজায় রেখে রুক্ষতা দূর করে।
দুধের সর ব্যবহার করেও ঠোঁটের হারানো দ্যুতি ফিরে পেতে পারেন। দুধের সরে মধু মিশিয়ে ঠোঁটে লাগান প্রতিদিন। এতে ফল মিলবে হাতেনাতে।