শ্রীমঙ্গলের আশেপাশে রিসোর্ট নিয়ে যতো কথা
Tweet
পর্যটন খাতকে কেন্দ্র করে শ্রীমঙ্গলে গড়ে উঠেছে ভালো মানের বহু হোটেল ও রিসোর্ট। এখানকার হোটেল ও রিসোর্টগুলোতে রয়েছে অবকাশ যাপনের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা। যদিও ভালো মানের প্রায় সব হোটেলগুলো শ্রীমঙ্গল শহরে অবস্থিত হলেও বেশিরভাগ রিসোর্টগুলোই গড়ে উঠেছে শহর থেকে কিছুটা ভেতরে। তবে প্রকৃতির সারথি হতে চাইলে অবকাশ যাপনের ক্ষেত্রে রিসোর্টগুলোর কোনো বিকল্প নেই। কেননা প্রাকৃতিক আবহে প্রকৃতিরই অংশ হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে এই রিসোর্টগুলো, সাঁজিয়ে তোলা হয়েছে প্রকৃতির সান্নিধ্যস্বরূপ। শ্রীমঙ্গলের এমনি সেরা কিছু রিসোর্ট নিয়ে আলোচনা করবো আজকের এই পর্বে।
গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট এন্ড গলফ
শ্রীমঙ্গলের সবচেয়ে বিলাসবহুল রিসোর্টগুলোর মধ্যে সবার শীর্ষে অবস্থান করছে গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট এন্ড গলফ। ১৩.২ একর জমির উপর নির্মিত পাঁচ তারকা মানের এই রিসোর্টটিতে রয়েছে যাবতীয় অত্যাধুনিক সকল সুযোগ-সুবিধা। অতিথিদের বিনোদন উপভোগের জন্য রয়েছে গেম সেন্টার, মুভি থিয়েটার, প্লে গ্রাউন্ড ও সুইমিংপুলসহ ইত্যাদি ব্যবস্থাপনা। এই রিসোর্টে আটটি ক্যাটাগরির সর্বমোট ১৩৫টি কক্ষ রয়েছে। এগুলোর মধ্যে তুলনামূলক মূল্য ও মানের বিবেচনায় কিং ডিলাক্স ক্যাটাগরি সর্বনিম্ন। যার প্রতিটি কক্ষের ভাড়া ২৪,০০০ টাকা। কিং ডিলাক্স ক্যাটাগরির পর ক্রমানুযায়ী রয়েছে কুইন ডিলাক্স, ট্রিপল ডিলাক্স, এক্সিকিউটিভ সুইট কিং, এক্সিকিউটিভ সুইট কুইন, রয়াল সুইট ডিলাক্স, রয়াল সুইট সুপেরিয়র ও প্রেসিডেন্সিয়াল সুইটসহ সর্বমোট আটটি ক্যাটাগরি। এগুলোর মধ্যে প্রেসিডেন্সিয়াল সুইট ক্যাটাগরির প্রতিটি কক্ষের ভাড়া ৭৭,৬০০ টাকা। সর্বাধিক ব্যয়বহুল এই প্রতিটি কক্ষ ৪জন অতিথির জন্য যথেষ্ট।
এই রিসোর্টে ভোজনের ব্যবস্থাপনা-স্বরূপ ৩টি পাঁচ তারকা মানের রেস্তোরা ও একটি ক্যাফে রয়েছে। কাজেই চাহিদা অনুযায়ী এখানে প্রতিটি অতিথির জন্যই রয়েছে সব ধরণের খাবারের সুব্যবস্থাপনা। আর যাতায়াতের কথা বলতে গেলে, শ্রীমঙ্গল থেকে যেকোনো সিএনজি,মাইক্রোবাস কিংবা প্রাইভেটকারে করে সহজেই চলে আসতে পারবেন গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্টে।
যোগাযোগ: +8801730793501-4
দুসাই রিসোর্ট এন্ড স্পা
শ্রীমঙ্গলের সবচেয়ে ব্যয়বহুল রিসোর্টগুলোর মধ্যে গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্টের পরেই আসে দুসাই রিসোর্ট এন্ড স্পা। শ্রীমঙ্গল উপজেলার অন্তর্গত গিয়াসনগরে অবস্থিত ব্যয়বহুল এই রিসোর্ট। প্রায় ১৭ একর জমির উপর নির্মাণ করা হয়েছে এই রিসোর্টটি। এখানে হোটেল ও ভিলা এই দুই ক্যাটাগরি অনুযায়ী রুম পাওয়া যায়। এর মধ্যে হোটেল ক্যাটাগরিতে আবার রুম আছে দুই ধরণের তথা সুপিরিয়র কিং ও প্রিমিয়াম কিং। সুপিরিয়র কিং এর ভাড়া ১২,০০০ টাকা প্রতি রাত। আর প্রিমিয়াম কিং -এর ভাড়া ১৪,০০০ টাকা। হোটেল ও ভিলা ক্যাটাগরির রুমগুলোর মধ্যে হোটেল ক্যাটাগরির এই রুমগুলোর ভাড়াই সর্বনিম্ন। ভিলা ক্যাটাগরির রুমগুলোর ভাড়া আরো অধিক। ভিলা ক্যাটাগরিতে মোট সাত ধরণের রুম আছে। এগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে ভিলা ডিলাক্স কুইন ,যার ভাড়া ১৬,০০০ টাকা। সাত ক্যাটাগরির রুমের মধ্যে এটিই সর্বনিম্ন। ভিলা ডিলাক্স কুইন এর পর রয়েছে ভিলা ডিলাক্স কিং, ভিলা সুইট সি, ভিলা সুইট বি, ভিলা সুইট এ, হানিমুন ভিলা এবং সর্বশেষ প্রেসিডেন্সিয়াল ভিলা। প্রেসিডেন্সিয়াল ভিলাতে প্রতি রাতের জন্য গুনতে হবে ৮০,০০০ টাকা। মানের বিবেচনায় এটিই দুসাই রিসোর্টের সর্বোচ্চ কক্ষ। এই রিসোর্টে থাকার জন্য অবশ্যই আগ থেকে রুম বুকিং দিয়ে আসতে হবে।
খাবার সংগ্রহের ভোগান্তি নিরসনে মোট চারটি রেস্তোরা ও ক্যাফে রয়েছে এই রিসোর্টে। এছাড়া অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা হিসেবে সুইমিংপুল, ব্যাটমিন্টন কোর্ট, টেনিস, কনফারেন্স রুম, ব্যায়ামাগার, গেম জোন ও সাইকেল রাইডিংসহ সকল সুযোগ-সুবিধাই রয়েছে এই রিসোর্টে। তবে এই রিসোর্টের নিয়ম অনুযায়ী সকল খাবার মূল্য এবং বুকিং মূল্যের সাথে বাড়তি ১৫% ভ্যাট ও ১০% সার্ভিস চার্জ প্রযোজ্য। শ্রীমঙ্গল শহর থেকে দুসাই রিসোর্টের দূরত্ব ১৫.১ কিলোমিটার। মাইক্রোবাস, সিএনজি কিংবা নিজস্ব পরিবহনে করে যাওয়া যাবে এই রিসোর্টে। তাছাড়া রিসোর্ট কর্তৃপক্ষকে আগে থেকে ফোন করে জানিয়ে রাখলে তারাই গাড়ি পাঠিয়ে দেবে।
যোগাযোগ: +8801617005511|
নভেম ইকো রিসোর্ট
শ্রীমঙ্গলের সেরা ১০ রিসোর্টের মধ্যে নভেম ইকো রিসোর্ট অন্যতম একটি। শ্রীমঙ্গল শহর থেকে খানিকটা ভেতরে রাধানগর এলাকায় এই রিসোর্টটি অবস্থিত। মানের বিবেচনায় এই রিসোর্টটি মাঝারি মানের হলেও পর্যটকদের কাছে এটি বেশ জনপ্রিয়। তাই আগ থেকে বুকিং করা না থাকলে এখানে রুম পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। এই রিসোর্টে বিভিন্ন ধরণের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। এই রিসোর্টে রুম প্রতি ভাড়া (৫,৫০০-২০,৫০০) টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। এগুলোর মধ্যে কাঠের কটেজগুলো বেশ জনপ্রিয়। এই কটেজগুলোর প্রতিটি রুমের সাথে একটি করে ব্যক্তিগত সুইমিংপুল রয়েছে। প্রায় ১০৫০ স্কয়ার ফিট বিশিষ্ট এই কটেজের রুমগুলোতে ২টি করে কাপল বেড রয়েছে। পাহাড়ের উপর থেকে চমৎকার সূর্যাস্থের দেখা পাওয়া যায় রুমে বসেই। তবে মনে রাখবেন এই কটেজগুলো সংখ্যায় একেবারেই সীমিত। তাই এই কটেজে থাকার ইচ্ছে থাকলে বেশ কয়েকদিন আগ থেকেই বুকিং দিয়ে রাখুন। নয়তো বা রুম পাওয়াটা দুষ্কর হয়ে উঠবে। যদিও কাঠের কটেজগুলো ছাড়া থাকার জন্য এই রিসোর্টে আরো বেশ ভালো মানের রুমের ব্যবস্থা রয়েছে।
যোগাযোগ: +88 017109882000
বালিশিরা রিসোর্ট
সবুজে ঘেরা আরো একটি রিসোর্টের নাম বালিশিরা। ১.৫ একর জমির উপর নির্মিত এই রিসোর্টটিতে রয়েছে মিনি সুইমিংপুল সংযুক্ত ৪টি ভিলা, ২টি ফ্যামিলি কটেজ, ৪টি টুইন ভিলা এবং ৪টি সিঙ্গেল কটেজ। সুইমিংপুল সংযুক্ত প্রতিটি ভিলার মূল্য ৬,৯৫০টাকা। প্রতিটি ফ্যামিলি কটেজের মূল্য ৫,৯৫০ টাকা। প্রতিটি টুইন ভিলার মূল্য ৬,৯৫০টাকা। আর সিঙ্গেল কটেজগুলোর মূল্য ৫,৯৫০ টাকা করে প্রতি রাতের জন্য। এই রিসোর্টের প্রতিটি কটেজ থেকেই সতেজ প্রকৃতির সান্নিধ্য মিলবে সহজেই। তাছাড়াও খেলার মাঠ, লং টেনিস, টেবিল টেনিস, মিউজিক হলরুম, ব্যক্তিগত সুইমিংপুল ও রেস্টুরেন্ট সুবিধাসহ যাবতীয় প্রায় সকল সুবিধাই রয়েছে এই রিসোর্টে। তবে দুপুরে ও রাতে খাবার অর্ডার করতে চাইলে খাবার গ্রহণের কমপক্ষে এক ঘন্টা আগে জানিয়ে রাখতে হবে। অন্যথায় আপনারা চাইলে রিসোর্ট থেকে ১০ মিনিটের যাত্রাপথ (সিএনজি যোগে) অতিক্রম করে পানসি রেস্টুরেন্ট থেকে সাশ্রয়ী মূল্যে সুস্বাদু খাবার গ্রহণ করতে পারেন।
শ্রীমঙ্গল শহর থেকে কিছুটা ভেতরে রাধানগর এলাকায় বালিশিরা রিসোর্টটি অবস্থিত। শ্রীমঙ্গল শহর থেকে রিসোর্টটির দুরুত্ব সিএনজি যোগে মাত্র ১৫ মিনিটের মতো। তবে কেউ যদি রেলপথে আসতে চান তাহলে শ্রীমঙ্গল রেল স্টেশনে নেমে সেখান থেকে সিএনজিতে চড়ে খুব সহজেই বালিশিরা রিসোর্টে পৌঁছতে পারবেন। এক্ষেত্রে রেলপথে যাত্রাই তুলনামূলক বেশ সাশ্রয়ী।
যোগাযোগ: +880 17 6655 7760
লেমন গার্ডেন রিসোর্ট
সবুজের ছায়ামাখা প্রকৃতির অভয়ারণ্যে ঘেরা অসম্ভব সুন্দর একটি রিসোর্ট লেমন গার্ডেন। শ্রীমঙ্গলের লাউয়াছড়া উদ্যানের অতি নিকটে এই রিসোর্টটি অবস্থিত। সিলেটের অন্যান্য সেরা রিসোর্টগুলোর মতো এটিও খুবই নির্জন ও পরিবেশ বান্ধব। এতে রয়েছে নিজস্ব ফলের বাগান যেখানে দেখা মিলবে আম, কাঁঠাল, আনারস, কদবেল, পেঁয়ারা, জাম্বুরা, জলপাই, নারকেল, পেঁপে, আমড়া, কামরাঙা, জামরুল, আতাফল, ডালিম ও মাল্টাসহ দেশি-বিদেশী নানান ফলের সমাহার। রিসোর্টের মাঝে এমন ফলের বাগান নজর কাড়ে দর্শনার্থীদের। শুধু তাই নয় বাগানের মাঝে প্রকৃতির এই আবহকে উপভোগ করার জন্য ছাউনির নিচে চেয়ার ও টেবিল যোগে রয়েছে বিশ্রামের সুব্যবস্থাপনা। শ্রীমঙ্গল শহর থেকে লেমন গার্ডেন রিসোর্টের দূরত্ব চার কিলোমিটারের মতো। শ্রীমঙ্গল রেলস্টেশন কিংবা বাস স্টপ থেকে রিসোর্টে পৌঁছতে সময় লাগবে (৩০-৪০) মিনিটের মতো।
পরিবেশ বান্ধব এই রিসোর্টটিতে রাত্রি যাপনের জন্য রয়েছে বিভিন্ন ক্যাটাগরির রুম ,কটেজ ,কনফারেন্স হল ও বাংলোসহ নানাবিধ সুযোগ-সুবিধা। ১৪ কক্ষবিশিষ্ট এই রিসোর্টের ডাবল বেডের প্রতিটি কক্ষের ভাড়া দুই হাজার থেকে চার হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
যোগাযোগ: +৮৮০১৭৬৩৪৪৪০০০
শ্রীমঙ্গল টি রিসোর্ট এন্ড মিউজিয়াম
বাংলাদেশ চা বোর্ডের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত শ্রীমঙ্গল টি রিসোর্ট। শ্রীমঙ্গল শহর থেকে রিসোর্টের দূরত্ব ৪ কিলোমিটারের মতো। ভাড়াউড়া চা বাগানের পাশে প্রায় ২৫.৮৩ একর জমির উপর অবস্থিত এই টি রিসোর্টটি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যমন্ডিত এই রিসোর্টটি সেই ব্রিটিশ আমলে নির্মিত বেশ পুরোনো একটি রিসোর্ট। তৎকালীন সময়ে এটি মূলত ব্রিটিশ বাংলো হিসেবে ব্যবহৃত হতো ,কালের পরিক্রমায় বর্তমানে যেটিকে রিসোর্টে রূপান্তর করা হয়েছে।
এই রিসোর্টে অতিথিদের বিনোদনের জন্য রয়েছে অত্যাধুনিক টেবিল টেনিস কোর্ট ,ব্যাডমিন্টন কোর্ট ও সুইমিংপুল। এখানে বিভিন্ন ধরণের আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে। যেমনঃ আইপি রুম ,ভিআইপি রুম ,ইকোনমি ক্লাস এবং বাংলো। এগুলোর মধ্যে ইকোনমি ক্লাসের ভাড়া ২,০০০ টাকা। যা সর্বনিম্ন। ইকোনমির পর রয়েছে আইপি ক্যাটাগরি। আইপি ক্যাটাগরিতে প্রতি রাতের জন্য পরিশোধ করতে হবে ৩,০০০ টাকা। আর ভিআইপি ক্লাসের ভাড়া (৩,৫০০-৫০০০) টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। আর সবশেষে রয়েছে বাংলো। এক-একটি বাংলোর ভাড়া ৯,৫০০ থেকে ১৮,০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে বুকিং মূল্যের সাথে ১৫% ভ্যাট ও ১০% সার্ভিস চার্জ আবশ্যক। শ্রীমঙ্গল শহর থেকে যেকোনো সাধারণ যানবাহনে করে এই রিসোর্টে আসা যাবে। এছাড়া রিসোর্ট কর্তৃপক্ষকে আগে থেকে জানিয়ে রাখলে উনারা শ্রীমঙ্গল থেকে রিসোর্ট পর্যন্ত পরিবহন সুবিধা দেবে।
যোগাযোগ : +88 01712 071502
সুইস ভ্যালি রিসোর্ট
সিলেট মৌলভীবাজারের শমশের নগরে অবস্থিত বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ঘাঁটির পাশেই সুইস ভ্যালি রিসোর্টটির অবস্থান। অন্যান্য রিসোর্টগুলোর মতো এখানেও রয়েছে প্রকৃতির সুনিবিড় ছোঁয়া। চারদিক থেকে নানান গাছ-পালা দিয়ে ঘেরা এই রিসোর্টটি। শুধু তাই নয় এখানকার কটেজগুলোও বেশ পরিবেশ বান্ধব। কটেজের প্রতিটি আসবাপত্রই তৈরী করা হয়েছে পরিবেশের উপযোগী করে ,প্রতিটি আসবাবেই লেগে আছে বাঁশ ,কাঠ ও শনের মিতালী। তবুও যেন আধুনিকায়নের কোনো বালাই নেই এই রিসোর্টে। এসি ,নন-এসি উভয় আবাসন ব্যবস্থাই রয়েছে এই রিসোর্টে। এই রিসোর্টের প্রতিটি এসি ,নন-এসি সিঙ্গেল কটেজের ভাড়া যথাক্রমে ২,৫০০ এবং ৩,৭০০ টাকা। সিঙ্গেল কটেজগুলো দু’জনের জন্য যথেষ্ট। সিঙ্গেল কটেজ ছাড়াও ২ রুম ও ৪ রুমবিশিষ্ট কটেজ রয়েছে। এ কটেজগুলো মূলত তাদের জন্য বেশি উপযোগী যারা বন্ধুদের সাথে দলবদ্ধভাবে বেড়াতে যেতে চান। এছাড়াও যারা পরিবার নিয়ে যেতে চান তাদের জন্যও রয়েছে ভিন্ন ফ্যামিলি কটেজের ব্যবস্থা। প্রতিটি ফ্যামিলি কটেজের ভাড়া ১০,০০০ টাকা। তবে এই বুকিং মূল্যগুলোর সাথে ১৫% ভ্যাট এবং ৭.৫% সার্ভিস চার্জ পরিশোধ করতে হবে।
সুইস ভ্যালি রিসোর্টের খাবারের মান মোটামুটি ভালো। নিজস্ব খাবার সেবা প্রদান করে থাকে রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ। এ রিসোর্টে যাতায়াত পদ্ধতিও বেশ সহজ। শমশের নগর রেলস্টেশন থেকে রিসোর্টের দুরুত্ব মাত্র ২ কিলোমিটারের মতো হওয়ায় যেকোনো স্থানীয় যানবাহনে চেপে সহজেই যাওয়া যায় এই রিসোর্টে।
যোগাযোগ : +88 01786 493 700