সুন্দরবনের বাঘ লোকালয়ে, আতঙ্কে ৪ গ্রামের মানুষ

Share on Facebook

বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার খেজুরবাড়িয়া গ্রামে আবারও হানা দিয়েছে সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার। ভোলা নদী ভরাট হওয়ায় সুন্দরবন সংলগ্ন ওই এলাকায় মাঝে মাঝেই বাঘ ঢুকে পড়ছে। বৃহস্পতিবার রাতে লোকালয়ে একটি বাঘ হানা দেওয়ায় আতঙ্কে রয়েছে চার গ্রামের মানুষ। বাঘটিকে সুন্দরবনে ফিরিয়ে নিতে গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিয়ে টহল দিচ্ছে বনরক্ষীদের একটি দল।

শরণখোলার ধানসাগর ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর মো. আবুল হোসেন খান জানান, সুন্দরবন থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরত্বে তাদের বাড়ি সংলগ্ন মাছের ঘের। তার ছেলে মো. শাহিন খান বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাছের ঘের পাহারা দিতে যান। এ সময় টর্চলাইটের আলোয় একটি বাঘকে ঘেরের মধ্যে দেখতে পান। ছেলের ডাক-চিৎকারে তিনি এগিয়ে গেলে বাঘটি পালিয়ে যায়। তবে বাঘটি বনে ফিরে গেছে নাকি লোকালয়ে লুকিয়ে রয়েছে তা তিনি নিশ্চিত করে বলতে পারেননি।

সুন্দরবনের ধানসাগর স্টেশন কর্মকর্তা মো. আব্দুস সবুর জানান, লোকালয়ে বাঘ ঢুকে পড়ার খবর পেয়ে কমিউনিটি পেট্রোলিং গ্রুপ (সিপিজি), ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিম (ভিটিআরটি) ও এলাকাবাসীদের নিয়ে ওই গ্রামসহ আশপাশের চারটি গ্রামে পাহারা দেওয়া হচ্ছে। বাঘটি লোকালয়ে পাওয়া গেলে নিরাপদে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। ভোলা নদী ভরাট হওয়ায় প্রায়ই শরণখোলা উপজেলায় সুন্দরবন সংলগ্ন রাজাপুর, দাসেরভারানি, খেজুরবাড়িয়া, টগড়াবাড়ি এলাকার লোকালয়ে বাঘ ঢুকে পড়ছে।

লোকালয়ে বাঘ ঢুকে পড়ার বিষয়ে খুলনা সার্কেলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দে বলেন, ‘লোকালয়ে বাঘসহ বন্যপ্রাণী যেন প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য সুন্দরবনের শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জের ৬০ কিলোমিটার এলাকায় বেড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে গত ২৮ মার্চ বন বিভাগের এক সভায়। অর্থ ছাড় পাওয়া গেলে আগামী এক বছরের মধ্যে কাজ শুরু হবে। এ ছাড়া সুন্দরবন সুরক্ষা প্রকল্পের মাধ্যমে ভোলা নদী পুনর্খনন করা হবে বলেও জানান তিনি।

এর আগে ৩১ মার্চ একই এলাকার রাজাপুর গ্রামের সোবাহান হাওলাদারের বাড়িতে ঢুকে মহিষকে আক্রমণ করে একটি বাঘ।

Leave a Reply