ঢেড়স এর যতো গুনাগুন
Tweet
ঢেড়স আমাদের দেশের একটি জনপ্রিয় সবজি। এটি আমাদের দেশের প্রায় সব জায়গায় পাওয়া যায়। ঢেড়সকে আমরা ভেন্ডি নামেও চিনে থাকি। আয়োডিনের অভাবে সৃষ্ট গলগন্ড, মস্তিস্ক ও হৃৎপিন্ডের দুর্বলতা প্রতিরোধে ঢেড়স খুবই উপকারি একটি সবজি। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস এবং ভিটামিন এ , বি এবং সি।
এখন আমরা ঢেড়স এর উপকারিতা সম্পর্কে জানব-
ব্লাড সুগার কমায়ঃ ঢেঁড়স ব্লাড সুগার কমাতে সাহায্য করে। রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়তে থাকলে কালো জামের বীজ চূর্ণ করে এক গ্রাম পরিমাণ চুর্ণের সাথে তিন চারটে কচিঢেড়স সেদ্ধ পানির সঙ্গে কদিন খেলে ব্লাড় সুগার কমে যাবে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূরঃ ঢেড়সে রাইবোফ্লাভিন পরিমাণ এতো বেশি যা বেগুন, মুলা, টমেটো আর শিমের থেকেও বেশি। কোষ্ঠকাঠিন্য সারাতে ঢেড়স বেশ উপকারী। এজন্য বীজ ফেলে দিয়ে দু তিনটা কাচা ঢেঁড়স প্রায় ৪৫০ গ্রাম পানিতে এমন ভাবে সেদ্ধ করুন যাতে এক কাপ পরিমাণ অবশিষ্ট থাকে। এবার পানিটা ছেকে নিয়ে দুবার খাবেন একঘন্টা পর পর। এতে প্রসাব পায়খানা উভয়ই পরিষ্কার হবে।
কাশি দূরঃ ঢেঁড়স খেলে খুসখুস কাশির উপকার হয়। সে ক্ষেত্রে বীজ ফেলে দিয়ে কয়েকটি কাচা ঢেড়স রোদে শুকিয়ে গুড়ো করে রাখুন। পাচ ছয় গ্রাম ঢেড়সের শুকনা গুড়া আর চিনি দিয়ে বড়ি বানাতে হবে। বড়ি চুষে খেলে অল্প সময়ের মধ্যেই উপকার পাওয়া যাবে।
প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডের ক্ষরণ দূরঃ ঢেড়সের উপাদান প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডের ক্ষরণ দূর করতে সহায়ক। প্রচুর পরিমাণ পানি পান করলেও অনেক সময় প্রস্রাবের পরিমাণ কম হতে পারে। এমন হলে বীজ ফেলে দিয়ে তিন চার টা কাচা ঢেঁড়স আধা সের পরিমাণ পানিতে সেদ্ধ করুন। পানি অর্ধেক পরিমাণ থাকতেই নামিয়ে ছেঁকে নিন। এই পিচ্ছিল পানি খেলে প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডের ক্ষরণের সমস্যা দূর হয়।