ছুটির দিনে কোথায় যাবেন ঘুরতে?
Tweet
টানা ৫ দিনের কাজের ক্লান্তি ভুলতে হলে আপনাকে ছুটির দিনগুলোকে কাজে লাগাতে হবে। অনেকেই আবার সারাদিন ঘুমিয়ে রয়ে সয়ে বাসায় কাটিয়ে দেন। ক্লান্তি ভুলতে অনেকে বেরিয়েও পড়েন। অনেকে কোথায় যাবেন এনিয়ে ভোগেন দ্বিধা দ্বন্দ্বে।
দেশের ভিতর বিভিন্ন পরিচিত স্পট তো রয়েছেই, দেশের বাইরে ভ্রমণপ্রেমীদের পছন্দ নিকটবর্তী দেশগুলো। একটু প্রস্তুতি থাকলেই যেখান থেকে বেড়িয়ে আসতে পারেন সেটাই জেনে নিন এখানে—
ঐতিহাসিক স্থান:-
ঢাকার অধিকাংশ ঐতিহাসিক স্থানই পুরান ঢাকায়। আহসান মঞ্জিল, লালবাগ কেল্লা, লালকুঠি, কার্জন হল, হোসেনি দালান ঘুরে আসার সঙ্গে ইতিহাসও ঝালিয়ে নেওয়া যাবে।
জাদুঘর:-
জাতীয় জাদুঘর ও তার অধীন জাদুঘরগুলোতে ঘুরে আসতে পারেন।
পার্ক ও চিড়িয়াখানা:-
ঢাকায় বেশ কিছু পার্ক আছে। শিশুদের জন্য আছে শাহবাগের শিশুপার্ক, শ্যামলীর শিশুমেলা। আর মিরপুরে ছোট-বড় সবার জন্য রয়েছে জাতীয় চিড়িয়াখানা। বড়দের জন্য আছে বোটানিক্যাল গার্ডেন, বলধা গার্ডেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, চন্দ্রিমা উদ্যান ও বুড়িগঙ্গা ইকোপার্ক। এ ছাড়া আছে গুলশান ও স্বামীবাগের ওয়ান্ডারল্যান্ড।
ঢাকায় একটু স্বস্তি:-
ঘনবসতির শহর হলেও নগরবাসী খুঁজে নিয়েছেন স্বস্তিতে নিশ্বাস নেওয়ার কিছু জায়গা। শরতের কাশফুলের সৌন্দর্য উপভোগের জন্য আছে উত্তরার দিয়াবাড়ী। মিরপুর ডিওএইচএসের সাগুফতার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও কম যায় না। পূর্বাচলের ৩০০ ফুটের খোলা রাস্তায় ঘোরাঘুরির সঙ্গে আছে নানান পদের খাবারের দোকানে রসনা পরিতৃপ্তির সুযোগ। নদীর পাড়ে ঘুরতে যেতে চাইলে আছে মোহাম্মদপুরের বছিলা গার্ডেন সিটি। বালুর মাঠ, নদীর বাতাস সব মিলিয়ে ব্যস্ত নগরী থেকে একটু স্বস্তি মিলবে।
ঢাকার কাছেঃ-
ঢাকার আশপাশ থেকেও ঘুরে আসা যায়। নন্দন পার্ক, ফ্যান্টাসি কিংডম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক। গাজীপুরে আছে অনেক রিসোর্ট। নারায়ণগঞ্জের পানাম নগরী, হাজীগঞ্জ জলদুর্গ, সোনারগাঁয়ে লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর এবং বাংলার তাজমহল। মানিকগঞ্জের বালিয়াটি জমিদারবাড়ি থেকেও ঘুরে আসা যায়।