শূন্য রানে আউট হওয়ায় চড় মেরেছিলেন আইপিএল ফ্রাঞ্চাইজি মালিকঃ রস টেলর
Tweet
আইপিএলে খেলার সময় হেনস্তার শিকার হয়েছিলেন যুজবেন্দ্র চাহাল। মাস তিনেক আগে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের এক ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করে ক্রিকেট মহলে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিলেন এই লেগ স্পিনার। এবার চাহালের চেয়েও গুরুতর অভিযোগ করলেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার রস টেলর। তাঁর অভিযোগ কোনো ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে নয়, আইপিএলের একটি দলের এক মালিকের বিরুদ্ধে।
টেলরের অভিযোগ, রান না পাওয়ায় রাজস্থান রয়্যালসের ফ্রাঞ্চাইজির এক মালিক তাঁকে চড় মেরেছিলেন। নিজের আত্মজীবনী ‘ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইটে’ আইপিএল নিয়ে এই বোমা ফাটিয়েছেন এই নিউজিল্যান্ড কিংবদন্তি। টেলর যে ঘটনার কথা বলেছেন, সেটি ২০১১ সালে মোহালিতে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে রাজস্থান রয়্যালসের ম্যাচের পর। সেই ম্যাচে শূন্য রানে আউট হওয়ার পরই রাজস্থান রয়্যালসের মালিকদের একজন নাকি তাঁকে একাধিক চড় মেরেছিলেন। যদিও টেলর তাঁর নাম উল্লেখ করেননি।
আত্মজীবনীতে টেলর লিখেছেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল ১৯৫ রান। কিন্তু আমি শূন্য রানেই এলবিডব্লু হয়ে যাই। সে ম্যাচে আমরা লক্ষ্যের ধারেকাছেও যেতে পারিনি। ম্যাচ শেষে ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফ এবং টিম ম্যানেজমেন্টের সবাই টিম হোটেলের সবচেয়ে ওপরের তলার একটা পানশালায় যাই। ওয়ার্নির (শেন ওয়ার্ন) সঙ্গে লিজ হার্লিও ছিলেন সেখানে। তখনই ফ্র্যাঞ্চাইজির এক মালিক এসে আমাকে বলেন, “টেলর, শূন্য রানে আউট হওয়ার জন্য তোমাকে লাখ লাখ টাকা দেওয়া হয় না। এরপরই আমার গালে তিন–চারবার চড় মারে সে।’
টেলরকে সেই ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক চড় মেরেছিলেন হাসতে হাসতে। তারপরও এটাকে ঠিক রসিকতা বলে মনে হয়নি, ‘সে হাসছিল এবং চড়গুলোও খুব একটা জোরে মারেনি। কিন্তু আমি নিশ্চিত, এটা পুরোপুরি অভিনয় ছিল না। ওই পরিস্থিতিতে আমি এটা নিয়ে কোনো ইস্যু তৈরি করতে চাইনি। কিন্তু আমি কল্পনাও করতে পারিনি যে একটা পেশাদার জায়গায় এমনটা ঘটছে।’
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে তিন মৌসুম খেলার পর ২০১১ সালে টেলরকে দলে টানে রাজস্থান রয়্যালস। অভিযোগের ব্যাপারে রাজস্থানের পক্ষ থেকে এখনো কিছু জানানো হয়নি।
রস টেলরের আত্মজীবনীতে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের বর্ণবিদ্বেষ নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগও আছে, যা নিয়ে তোলপাড় এখনো শেষ হয়নি। এর মধ্যেই আবার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হলো এমন অভিযোগ। বোঝাই যাচ্ছে, আত্মজীবনীতে কোনো রাখঢাক করেননি রস টেলর।