ক্যারিয়ারের শুরুতে মুশফিক ওপেনই করতোঃ ফাহিম
Tweet
যেহেতু ওপেনার মাত্র দুজন, তাই বিকল্প চিন্তা তো করতেই হবে। ১৭ সদস্যের এশিয়া কাপ দল দেখে সবাই সেটা বুঝে গেছেন আগেই। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আরও বোঝা যাচ্ছে, মিডল অর্ডার থেকেই বিকল্প ওপেনার খুঁজে নিতে চাচ্ছে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট।
শেরে বাংলায় ব্যাপক গুঞ্জন, মুশফিকুর রহিমকেই সম্ভাব্য ওপেনার ধরে আগানোর চিন্তা চলছে। এ নিয়ে কেউ মুখ ফুটে কিছু না বললেও ভেতরের খবর নাকি সেটাই। এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গে ৩০ আগস্ট শারজায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে মিস্টার ডিপেন্ডেবলকে ওপেন করতে দেখা গেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
গত দু’তিন দিন শেরে বাংলার সেন্টার উইকেটে মুশফিকের ব্যাটিং প্র্যাকটিসের ধরনেও মিলেছে এমন ইঙ্গিত। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের ওপেনাররা যেমন পাওয়ার প্লে কাজে লাগানোর জন্য ফিল্ডারদের মাথার ওপর দিয়ে হাওয়ায় ভাসিয়ে তুলে মারেন, মুশফিক ঠিক সেই অনুশীলনটাই করলেন গত কদিন ধরে।
অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্সও সশরীরে উপস্থিত থেকে পাখির চোখে সাকিব আর মুশফিকের ব্যাটিং পারখ করলেন। একটু আধটু টিপসও দিলেন। আর খানিক দূর থেকে দুই ছাত্র শিষ্যর ব্যাটিংটা গভীর মনোযোগ দিয়ে দেখলেন নাজমুল আবেদিন ফাহিম।
বিকেএসপিতে তারা দুজনই নাজমুল আবেদিন ফাহিমের ছাত্র ছিলেন। তাই বয়সভিত্তিক জাতীয় দল থেকেই ফাহিম স্যারের (বিকেএসপির তখনকার হেড কোচ) সান্নিধ্যেই বেড়ে উঠেছেন মুশফিক ও সাকিব।
এখন মুশফিককে যদি সত্যিই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের এশিয়া কাপে ওপেনার হিসেবে খেলানো হয়, তাহলে কেমন হবে? তা নাজমুল আবেদিন ফাহিমের চেয়ে আর ভালো কে বলতে পারবেন? মুশফিকের ক্রিকেটার হিসেবে বেড়ে ওঠাই যে তার ও সারোয়ার ইমরানের হাতে।
মুশফিককে দিয়ে ওপেন করানোর চিন্তা চলছে। তা নিয়ে আপনার মতামত কি? এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে নাজমুল আবেদিন ফাহিম বলেন, ‘মুশফিক যখন খেলা শুরু করেছিল, তখন সে ওপেনই করতো। বিকেএসপিতে ওপেনার হয়েই এসেছে, এটা আমি জানি ব্যক্তিগতভাবে। পরে ক্যারিয়ারের কারণে ও মিডল অর্ডারে চলে গেছে।’
তবে মিডল অর্ডারে অভ্যস্ত হয়ে পড়া একজনের জন্য ইনিংসের সূচনা করা সহজ কাজ নয়। ফাহিম মনে করেন, সেটা বেশ চ্যালেঞ্জিং। তার ভাষায়, ‘অবশ্যই মুশফিক মিডল অর্ডারের একজন ব্যাটার, তার জন্য ওপেন করাটা সবসময় চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। আমি জানি না ও নিজেকে কতটা প্রস্তুত করতে পারবে। কিন্তু ওর অভিজ্ঞতাটা কাজে লাগবে। যদি দরকার হয় মুশফিক ও অন্যরাও আছে।’
এখানেই শেষ নয়। বিকেএসপির বর্তমান উপদেষ্টা অবশ্য মনে করেন যেহেতু দলে দুজন স্বীকৃত ওপেনার আছে, তাদের দিয়েই ওপেন করানোর চিন্তা করা উচিত।
ফাহিম বলেন, ‘আসলেই মুশফিক ওপেন করবে কিনা, জানি না। কারণ দুজন স্বীকৃত ওপেনার আছে আমাদের দলে। আলোচনাটা যদি মুশফিককে নিয়ে বেশি করি, ওই দুজন ওপেনার খুব একটা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে না। আমার মনে হয় দুজনকেই ব্যাক করা উচিত, যেন ওরা ভালো করতে পারে। সেটা পারলে সেরা হবে। যদি ওদের মধ্যে কেউ ব্যর্থ বা অসুস্থ হয়, তাহলে হয়তো মেকশিফট অপশনের ব্যাপার আসবে। সেখানে বোধ হয় অনেক অপশন আছে।’