হ্যালোইন কী, কেন পালিত হয় এ উৎসব?
Tweet
এখন কেবলমাত্র পশ্চিমী দেশগুলিতেই নয়, ভারতের মতো আরও অনেকেই দেশেও ধূমধাম করে হ্যালোউইন উদযাপন করা হয়। প্রতি বছর ৩১ অক্টোবর সারা বিশ্বের খ্রিস্টানরা এই দিনটি পূর্বপুরুষদের স্মরণ করে উদযাপন করে। এদিন সাধু, মহাপুরুষ ও শহীদদের স্মরণ করা হয়। সাধুদের সম্মান জানিয়ে, যারা এখনও স্বর্গে পৌঁছাননি তাদের আত্মার শান্তি কামনার জন্যে প্রার্থনা করা হয়।
আসলে হ্যালোউইন ছিল Samhain-র প্রাচীন কেল্টিক উত্সব। এটা ছিল তাদের ফসল কাটার উৎসব। কেল্টিক সম্প্রদায় প্রায় দুই হাজার বছর আগে এসেছিল। ফসল কাটার মরসুমের শেষ হিসেবে হ্যালোউইন পালিত হত। এছাড়াও, এটি শীতের মাসগুলির সূচনাও চিহ্নিত করে।
প্রতি বছর ৩১ অক্টোবর বিশ্বজুড়ে উদযাপিত হল হ্যালোউইন উৎসব। কালীপুজোর আগের দিন যেমন আমরা ভূত চতুর্দশী পালন করে থাকি, ঠিক তেমনই পশ্চিমী দেশগুলিতে পালিত হয় হ্যালোউইন। হ্যালোউইন All Hallows’ Eve নামেও পরিচিত। মূলত ইউরোপ এবং আমেরিকার উৎসব হলেও, এখন এশিয়াতেও হ্যালোউইন উদযাপন করতে দেখা যায়। হ্যালোউইনের দিন সকলে ভয়ঙ্কর পোশাক পরেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক এই উৎসব সম্পর্কে আকর্ষণীয় কিছু তথ্য।
কেল্টিকরা আয়ারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য এবং উত্তর ফ্রান্সের অঞ্চলগুলির অন্তর্গত। তারা বিশ্বাস করত যে, হ্যালোউইনের প্রাক্কালে, জীবিত এবং মৃতের মধ্যে কোনও সীমানা থাকে না এবং আত্মারা অবাধে সব জায়গায় চলাচল করতে পারে। অর্থাত্ জীবিতের সঙ্গে মিলিত হন মৃতেরা, জাগতিক সব কিছুর সঙ্গে মিলে যায় ভৌতিক যা কিছু। কেল্টিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী বছরের প্রথম দিন ১ নভেম্বর।
প্রতি বছরই ৩১ অক্টোবর হ্যালোউইন উদযাপিত হয়। গ্রীষ্ম এবং শীত, জীবিত এবং মৃতের মধ্যে পার্থক্য চিহ্নিত করার জন্য হ্যালোইন উদযাপন করা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে, হ্যালোউইনের দিনে জীবিত এবং মৃতের মধ্যে কোনও সীমানা থাকে না। আধুনিক যুগে, হ্যালোউইনের দিন বিভিন্ন ধরনের ভুতুড়ে পোশাক পরিধান করা, কুমড়ো খোদাই করা, ভুতুড়ে গল্প বলা, ভৌতিক সিনেমা দেখা এবং বিভিন্ন ভুতুড়ে ক্রিয়াকলাপ করা হয়।