আবাসিক হোটেলের আদর্শ মেহমান হবেন যেভাবে
Tweet
সব ধরনের মানুষই হোটেলের মেহমান হয়ে আসেন। তাদের কক্ষে পৌঁছে দেওয়া, সবকিছু পরিষ্কার রয়েছে কিনা দেখা, যেকোনো প্রয়োজন মেটানো ইত্যাদি কাজ করতে হোটেলের কর্মীবাহিনী রয়েছে। এরাই হোটেলের মেহমানদের দেখভাল করেন। এরাই ভালো-মন্দ সব ধরনের মানুষের বিচিত্র আচরণের সাক্ষী। প্রতিটি হোটেল একজন ভদ্র-সভ্য মেহমান আশা করে। তাই যাদের নানা কাজে বা বিশেষ উপলক্ষে বিভিন্ন হোটেলে থাকতে হয় তাদের এ পরিবেশের আদর্শ আচরণ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন।
ট্রিপঅ্যাডভাইজর-এর মতো বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইটের আনাগোনায় আমরা হোটেলে নানা কাহিনী সম্পর্কে জানতে পারি। এসব সাইটে হোটেলের মেহমানরা তাদের বাজে অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। আবার বাজে স্বভাবের মেহমানদের সম্পর্কে অভিজ্ঞতাও তুলে ধরেন হোটেল কর্মীরা। অনেক সময় কর্মীদের প্রতিশোধমূলক আচরণের শিকার হন অভদ্র মেহমানরা।
হোটেল বিষয়ক বিভিন্ন চ্যাটরুম থেকে বিরক্তিকর মেহমানদের কাজ-কর্মের কথা জেনে নিন।
১. কিছু মানুষ হোটেল রুমে নিজেদের টানা দুই-তিন দিন বন্ধ করে রাখেন। আর যখন বেরিয়ে আসেন তখন গোটা কক্ষ বাজে ও নোংরা গন্ধে ভরে থাকে।
২. স্পা টাবের চাকচিক্য পাগলাটে মেহমানরা কিছু দিনেই নষ্ট করে ফেলেন।
৩. সারা রাত মদ খেয়ে সকালে নগ্ন অবস্থায় রুম সার্ভিসকে ডেকে এনে কাজ করানো মানুষরা সত্যিই বিরক্তিকর।
৪. এমনও ঘটনা ঘটেছে, একটা জীবন্ত মুরগী এনে রুমের মধ্যেই কেটে তা রান্না করতে দিয়েছেন কুকের কাছে।
৫. এক দুই মাস হোটেল কক্ষ ভাড়া নিয়ে থাকার পর কক্ষের মধ্যে মৃত অবস্থায় কাউকে ফেলে চলে গেলে বিষয়টি কতোটা ভয়ংকর হতে পারে?
আবার অনেক মানুষ আছেন যারা ভব্যতা জানেন। সিডনি অলিম্পিক পার্কের ব্যস্ত ‘অ্যাকোরস’ এর হোটেল অপারেশনস ম্যানেজার অ্যান ভোস জানান, কর্মীদের কাছে কিছু মেহমান দারুণ পছন্দের। এদের মতো মেহমান হতে তার পরামর্শ হলো-
১. কয়েক দিন থাকার পর পরিত্যক্ত পোশাক বা জঞ্জাল একটি চেয়ারের ওপর গুছিয়ে রাখুন।
২. জিনিসপত্র মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখবেন না।
৩. রুম সার্ভিস নেওয়ার পর খাবারের ট্রে দরজার বাইরে রেখে দিন।
৪. টয়লেট ব্যবহারের পর নিয়মিত ফ্ল্যাশ করুন।
৫. কেউ যদি খাবারের থালা বা চামচ নিজের ব্যবহারের জন্যে আলাদাভাবে আনেন, তবে খেয়াল রাখতে হবে তা যেন হোটেলের সঙ্গে মিলে না যায়। তাহলে হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
৬. গেস্টরুম কেটলিতে নুডুলস বা অন্য খাবার রান্না করবেন না।
৭. চায়ের পাতা ময়লা ফেলার বাক্সে ফেলে দিন।
৮. বাথরোব বা টাওয়েল পরিবর্তনের প্রয়োজন না হলে তা আগের স্থানেই ঝুলিয়ে রাখুন। আর বদলাতে চাইলে তা বাথটাব বা শাওয়ারের ওপর রেখে দিন।
৯. পরিত্যক্ত ব্যবহার্য, যেমন- টাওয়েল, ফেস ওয়াস, শ্যাম্পুর বোতল ইত্যাদি যেখানে সেখানে না ফেলে বাথটাবে ফেলে রাখুন।
আবার এমন কিছু দায়িত্ব রয়েছে যা মেহমানরা নিজ থেকেই পালন করতে পারেন। এগুলো পরিবেশবান্ধব আচরণ।
১. এক টাওয়েল একাধিকবার ব্যবহার ভালো। অথবা দেহ শুকাতে হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করতে পারেন।
২. দুই রাতের জন্যে থাকতে চাইলে এবং রুম সার্ভিস না নিতে চাইলে দরজার বাইরে ‘ডু নট ডিসটার্ব’ লেখা বোর্ডটি ঝুলিয়ে দিন।
৩. বাথরুমের সাবান বা শ্যাম্পু যদি সঙ্গে করে নিতে চান তবে ভালো। কিন্তু একবার হাত ধুয়ে একটি সাবান নষ্ট করার প্রয়োজন পড়ে না। যেটার মোড়ক খুলবেন তার পুরোটা ব্যবহার করুন।
৪. রুম থেকে বাইরে যাওয়ার সময় লাইট-ফ্যান বন্ধ করে দিন।