পাহাড়কন্যা নেপাল
Tweet
ভ্রমণের ব্যবহারিক অর্থ নানান রকম। যেমন প্রাতকালীন ভ্রমণ, বৈকালিন ভ্রমণ, নদীর পারে ভ্রমণ, জ্যোৎস্নার আলোয় ভ্রমণ, ট্রেনে-বাসে-উড়োজাহাজে-জলযানে ভ্রমণ ইত্যাদি। আক্ষরিক অর্থে আমরা যেটা বুঝি ভ্রমণ অর্থ বেড়ানো, ঘোরাঘুরি, এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়া। অন্য অর্থে দেশ ভ্রমণ। এছাড়া ভ্রমণ অর্থ যেটা বুঝি, সেটা হচ্ছে চিত্তবিনোদন, পর্যটন ও অবকাশযাপন।ভ্রমণ মানুষের জীবনে আনে জানা অজানা সৌন্দর্যের সংবাদ। তবে এটাও ঘটনা, মানুষের মধ্যে ভ্রমণের আবশ্যিক দিক নিজের দেশকে জানার, বোঝার, দেখার। নিজের জন্মস্থানের গাঁ-গঞ্জ-শহর-নগর থেকে বেরিয়ে দেশের ও বিদেশের অন্যত্র ভ্রমণের মাধ্যমে জানাটা ভ্রমণের মুখ্য উদ্দেশ্য। তাছাড়া দিনের পর দিন একই পরিবেশের জীবনযাপন থেকে ক্ষণিকের মুক্তি।একটু নতুন রূপ-বৈচিত্র্যের আমাদের দেয় অপরিসীম আনন্দ।
নসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি দক্ষিণ এশিয়ার দেশ নেপাল । নেপাল হচ্ছে ভগবান বুদ্ধের জন্মদেশ। এইজন্য এই দেশকে ইংরেজিতে বলে, Nepal —the Birth place of Lord Buddha. তাছাড়া তুষারশুভ্র পর্বতমালা, ঘন সবুজ বনানীর উপত্যকা, জীব বৈচিত্র্য আর ঐতিহ্যময় সংস্কৃতিতে ঘেরা দেশ নেপাল।। অন্যদিকে, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় সাড়ে সাত হাজার ফুট ওপরে অবস্থিত নাগরকোট যেন স্বর্গেরই আরেক নাম। যেখানে, হিমালয়ের বুক চিড়ে বের হওয়া রক্তিম সূর্যের সোনালী আভা, মেঘের আড়ালে উঁকি দেয় ক্ষণে ক্ষণে।
জেনে নিন কীভাবে যাবে নেপালে
সড়কপথে নেপাল যেতে ভারতের ট্রানজিট ভিসা নিতে হবে। এতে এন্ট্রি এবং এক্সিট পোর্ট দেবেন চ্যাংড়াবান্ধা/ রাণীগঞ্জ। এরপর নেপালে পৌঁছালেই মিলবে অন অ্যারাইভাল ভিসা। এ স্টিকার ভিসা মিলবে এন্ট্রি পোর্টেই। বাসে প্রথমে বুড়িমারি বর্ডারে চলে যেতে হবে সরাসরি। সেখানে ইমিগ্রেশনের যাবতীয় কাজ শেষ করে প্রবেশ করবেন চ্যাংড়াবান্ধায়।সেখানে কাজ শেষে যেতে হবে রাণীগঞ্জ বর্ডারে। এরপর সেখান থেকে যেতে হবে নেপালের কাঁকড়ভিটায়। শিলিগুড়ি থেকেও বাসে সরাসরি চলে যেতে পারেন কাঁকড়ভিটা। ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করে কাঁকড়ভিটা থেকে পাবেন পোখারার বাস। জনপ্রতি ১ হাজার ৫০০ রুপির মতো পড়বে খরচ। সময় লাগবে ১২ ঘণ্টার বেশি। এছাড়াও বিমানে করেও খুব সহজে চলে যেতে পারেন।
নেপাল যাওয়ার সেরা সময় ?
নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্তই নেপাল ঘুরে আসার সেরা সময়। তাই দেরি না করে এখনই পরিকল্পনা করে ফেলুন নেপাল ভ্রমণের খুঁটিনাটি।
নেপালে ভ্রমণের শীর্ষ ১০ স্থান
সিন্ধুলিগাধি, মুন্ডুম ট্রেক, বরাহ ক্ষেত্র, অরুণ ভ্যালি, ক্লিফ- কুশমা, চিটলাং, খপ্তদ, বান্দিপুর, কুড়ি গ্রাম; কালিনচোক, লো মানথাং ইত্যাদি।