ঈদ যাত্রা শুরু করার আগে কিছু টিপস
Tweet
মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদের আর মাত্র কয়েকটি দিন বাকি। চারিদিকে এরই মধ্যে ঈদের রব শুনতে পাওয়া যাচ্ছে। শপিং মল গুলো বেচাবিক্রিতে ব্যস্ত সময় পার করছে। সবাই মিলে মিশে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়ার জন্য বাড়ি যাবার যাত্রাও শুরু হয়ে যাবে আর কয়েকদিনের মধ্যেই। প্রিয় মানুষদের কাছে ঈদ না কাটাতে পারলে ঈদের আনন্দ উৎসব যেন অধরাই থেকে যায়। তাই হাজার ঝক্কিঝামেলা থাকা সত্যেও প্রাণের টানে শহরের মানুষেরা ছুটে গ্রামের পানে।গরম আর রোজার সকল প্রকার ক্লান্তিকে উপেক্ষা করে মানুষ ছুটবে বাড়ির পথে। তবে সেই পথ যে শুধুই আনন্দের হয় তেমনটি কিন্তু নয়। অনেক ক্ষেত্রেই এই আনন্দ গুলো ভাগাভাগি করতে যাওয়া এই ভ্রমণগুলো হয়ে ওঠে ভয়ংকর। ঈদ যাত্রা শুরুর করার আগের কিছু সতর্কতা বিষয়েই আজকের আয়োজন।
১। ট্রেনে, বাসে, লঞ্চে যেই মাধ্যমেই ভ্রমণ করুন না কেন অবশ্যই আগে টিকিট কেটে ফেলুন। এই সময়ে যাত্রীর প্রচণ্ড চাপ থাকে যার দরুন সাথে সাথে গিয়ে সিট পাবার সম্ভাবনা প্রায় নেই। আর ভাল মানের গাড়ির সিট প্রায় অসম্ভব হয়ে যায়।
২। এখনকার সময়ে অনলাইনে টিকিট কাটার হিড়িক বেশ লক্ষ করার মত। ট্রেন, প্লেন, বাস এমনকি লঞ্চের টিকিটকে সহজ করার জন্য বহু অনলাইন প্রতিষ্ঠান এখন কাজ করছে। এসবের ক্ষেত্রে অবশ্যই বিশ্বস্ত সূত্র থেকে খোজ খবর নিয়ে তবেই টিকিট করুন। কেননা এই সেক্টরে এখন বেশ কিছু ভুয়া ব্যবসায়ের ও অস্তিত্ব লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
৩। নগর জীবনের ব্যস্ততা ছেড়ে নিজের বাড়ির পরম শান্তির ছায়া পেতে যারা ছুটবেন। তারা অবশ্যই নিজেদের বাসা বাড়ির প্রতি ও খেয়াল করে তবেই যাত্রা করুন। গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ বন্ধ করে দিয়ে যান। জানালা, দরজা যথা সম্ভব বন্ধ করে দিয়ে যান যেহেতু বৃষ্টির মৌসুম।
৪। নিজেদের ঘরের ছোট খাটো কাজগুলোকে যতটা সম্ভব গুছিয়ে রেখে জান। যাতে ফিরে এসে কিছু সময় অধিক বিশ্রাম করতে পারেন। এতে করে পুনরায় কাজে উৎসাহ বেড়ে যাবে।
৫। বাসায় কোন পালিত পশু পাখি থাকলে তাদের যথাযথ ব্যবস্থা করে তবেই রওনা করুন। এ ক্ষেত্রে বন্ধু, প্রতিবেশীর সহায়তা নিতে পারেন। এছাড়াও ঢাকায় এখন এগুলো পালনের জন্য বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাদের কাছ থেকেও সহায়তা পেতে পারেন।
৬। ঘরে কিংবা বারান্দায় গাছ লাগানোর অভ্যাস থেকে থাকলে গাছগুলোর জন্য যথাযথ পানির ব্যবস্থা করে যাবেন। নয়ত অনেক দিনের পানির অভাবে গাছ মরে যাবার সম্ভাবনা থাকে।