জার্মানদের সাথে প্রবাসীদের বুদ্ধ পূর্ণিমা

Share on Facebook

বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক গৌতম সম্যক সম্বুদ্ধের জন্ম, বুদ্ধত্বলাভ ও মহাপরিনির্বাণের মত ত্রিস্মৃতির জন্য সমাদৃত। । রোববার ধর্মীয় নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে স্থানীয় জার্মানদের সাথে সাথে প্রবাসী বৌদ্ধ বাংলাদেশীসহ শ্রীলংকান প্রবাসীরাও দিনটা উদযাপন করেন।

বাংলাদেশ ও বিশ্বের অন্যান দেশের মত রোববার ধর্মীয় নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমা বা বৈশাখী পূর্ণিমা উদযাপিত হলো জার্মানিতে। এই দিনটিতে নেপালের লুম্বিনী কাননে বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক গৌতম বুদ্ধের জন্ম, ৩৫ বছর বয়সে গয়ার বোধিবৃক্ষ মূলে পরম জ্ঞান বুদ্ধত্ব লাভ ও ৮০ বছর বয়সে ভারতের উত্তর প্রদেশের কুশিনারায় মহাপরিনির্বাণ প্রাপ্ত হন। গৌতম বুদ্ধের ধর্ম মানবতাবাদী ও কর্মবাদী। বোধিজ্ঞান লাভের পর থেকেই গৌতম বুদ্ধ ৪৫ বছর যাবৎ জগতের দেব-মনুষ্য ও সকল প্রাণীদের কল্যাণে ৪৫ বৎসর যাবৎ ধর্ম প্রচার করেছিলেন। সাধারণ মানুষকে দেখিয়েছিলেন দুঃখ থেকে মুক্তির পথ সাথে দিয়েছিলেন পরম শান্তি নির্বাণ পথের সন্ধানও।

দিনটি উদযাপন উপলক্ষে বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক গৌতম সম্যক সম্বুদ্ধের জন্ম, বুদ্ধত্বলাভ ও মহাপরিনির্বাণের মত ত্রিস্মৃতির জন্য রোববার সকাল থেকেই রাজধানী বার্লিনের অতি প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার ডাস বুড্ডিস্টিজে হাউজসহ অন্যান বিহারে ছিল ভিক্ষুদের পিন্ডাচরণ, বুদ্ধপূজা, শীলগ্রহণ, ভিক্ষুসংঘের উদ্দেশ্যে দান, ভাবনা অনুশীলন ও ধর্মদেশনা, সমবেত প্রাথর্ণা ও সুত্তপাঠ।

বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের শুভ এই দিনটিতে শ্রীলংকানসহ স্থানীয় জার্মানদের সাথে সাথে প্রবাসী বাংলাদেশীরাসহ অন্যান দেশের ধর্মপ্রাণ উপাসক উপাসিকাদের সমাগম ছিলো চোখে পড়ার মত। পবিত্র দিনে বিহারে আসতে পেরে খুশী সর্বস্তরের উপাসক উপাসিকারা।

বৌদ্ধ ধর্ম মতে মানব জীবন দুঃখময়, তাই সকল দুঃখ, তৃষ্ণা, মোহ থেকে মুক্তি লাভে দান, শীল ও ভাবনা এই ত্রিবিধ পূণ্য কর্মের কোন বিকল্প নাই। এদিন সন্ধ্যায় জার্মানি, বাংলাদেশসহ বিশ্ব শান্তি কামনায় প্রদীপ প্রজ্জলন করা হয়।

 

Leave a Reply