চলুন যাই ফুলের গ্রাম দীঘলদি ও সাবদীতে
Tweet
১৯৮০ সালের দিকে কাঠমালতী ও গাঁদা ফুল দিয়ে বন্দর উপজেলার সাবদীতে ফুলের চাষ শুরু হয়। ধীরে ধীরে কৃষিজমিতে এই ফুল চাষ সম্প্রসারিত হতে থাকে। এখানকার প্রতিটি বাড়ির সীমানা, সড়কের দুপাশে কাঠমালতীসহ বিভিন্ন ফুলের গাছ লাগানো রয়েছে। ফুল চাষ করে স্থানীয় লোকজন এখন অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী। ফুলই এখানে ফসল। বাতাসে ফুলের মিষ্টি সৌরভ, মৌমাছির গুঞ্জন, প্রজাপতির ডানার জৌলুস আর রঙের অফুরান সৌরভের সমাহার। এককথায় মাতিয়ে তোলার মতো পরিবেশ। এই দৃশ্য দেখতে হলে আপনাকে যেতে হবে ঢাকার থেকে খুব কাছের দূরত্ব নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলার দীঘলদি ও সাবদী এলাকায় ।
যা দেখবেন
শত শত বিঘা জমি নিয়ে গাঁদা, গোলাপ, গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধা, জারবেরা, কসমস, ডেইজি জিপসি, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকাসহ আরো বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের চাষ। মনে হবে সুন্দর বাংলাদেশের বুকে এক টুকরো স্বর্গ। ফুলের তীব্র সুগন্ধ, অসংখ্য মৌমাছি-প্রজাপতিদের উড়ে যাওয়া দৃশ্য মন কেড়ে নেবে। এখানকার ফুলচাষিদের মনটা ফুলের মতোই সুন্দর। যেকোনো বাগানে ঢুকে ইচ্ছেমতো ঘুরে বেড়ান, ছবি তুলুন, পছন্দমতো কয়েকটা ফুল তুলুন; কেউ কিছু বলবে না। বরং আপনার দিকে তাকিয়ে মিষ্টি একটা হাসি দেবে। তবে ফুলের বাগানে ঢোকার আগে অবশ্যই চাষিদের অনুমতি নেবেন।
যেভাবে যেতে হবে
ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জের পথে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলাচল করে বন্ধন, উৎসব, আনন্দ ইত্যাদি পরিবহনের বাস। ঢাকার গুলিস্তান থেকে এসব বাস পাঁচ মিনিট পর পর ছেড়ে যায় নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশে। অথবা ট্রেনে করে যেতে পারেন নারায়ণগঞ্জে। আপনার বাসে ভাড়া লাগবে ৩৬ থেকে ৫৫ টাকা। আপনি চাইলে ট্রেনে কমলাপুর থেকে সরাসরি নারায়ণগঞ্জে আসতে পারেন জনপ্রতি ১৫ টাকা খরচ করতে হবে অথবা আপনি চাইলে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়েও আসতে পারেন। সেখান থেকে আপনাকে যেতে হবে গুদারা ঘাট। নৌকায় পাড়ি দিয়ে আপনাকে টমটম করে যেতে হবে সাবদী বাজার। আর সেখানে গেলেই দেখা পাবেন ফুলের।