উজবেকিস্তানের ময়নাক এক আশ্চর্যের শহর!
Tweet
উজবেকিস্তানে “ময়নাক” নামের একটি জায়গা আছে । জায়গাটিকে দেখলে ভুতুরে জায়গা মনে হয় ।
এখানে মরুভূমির উপরে মাছ ধরা কয়েকটি জাহাজ দেখা যায় । অথচ নিকটম সমুদ্র, আরল সাগর, প্রায় দেড়শ কিলোমিটার দূরে ।
আরল সাগরের পাড়ে এটি ষাট দশকেও বেশ ব্যস্ত বন্দর ছিল । ঐ সময়েই ওখানের জমিতে তুলা উৎপাদন আরম্ভ হয় এবং তা ফলাতে চাষীরা আরল সাগর ও এর শাখা নদী থেকে খাল কেটে সেচের কাজে ব্যবহার করা আরম্ভ করে
এতে আরল সাগরের আয়তন কমতে থাকে এবং লোনা পানিতে নদীর মাছ সব মরে যায় । বর্তমানে আরল সাগরের আয়তন আগের চেয়ে অর্ধেকেরও কম । ময়নাকের লোকসংখ্যা ষাটের দশকের আগের ১০% মাত্র । এটি এখন একটি ভুতুরে মরুভূমির শহর ।
১৯৪২ সালে নন্দা দেবী বন রিজার্ভের কর্মচারী হরি কিষাণ মাধোয়া ভারতে উত্তরাখণ্ডের রুপকুণ্ড হিমবাহ লেকের তলদেশে শত শত কঙ্কাল আবিষ্কার করে । মানুষের মনে তখন নানা প্রশ্ন ও থিওরির জন্ম দেয় । অনেকে বলেন যে জাপান হয়ত ভারতে একটি নিষ্ফল আক্রমন করার চেষ্টা করার ফল, অনেকে বলেন কোন মহামারিতে মারা গিয়েছে ।
প্রকৃতপক্ষে এটি ৮৫০ সালে প্রায় ২০০ জন পর্যটকের লাশ । এখানে তখন একটি শিলাবৃষ্টি হয় এবং সেগুলি সাইজে একটি ক্রিকেট বলের চেয়েও বড় ছিল । তারই আঘাতে এরা মৃত্যুবরন করে । স্থানীয় উপকথার মতে এই সময় কনৌজের রাজা, তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে এবইং নানা লোকজনসহ নন্দা দেবীর মন্দিরে গিয়েছিলেন এবং তখন সবাই লেকে এই শিলাবৃষ্টিতে মৃত্যুবরন করেন ।
অর্থাৎ এটি আগেই জানা ছিল তাই এটিকে আবিষ্কার না বলে পুনরাবিষ্কার বলা যায় ।