সুনামগঞ্জে হাওর ভ্রমণে পর্যটকদের না আসার অনুরোধ
Tweet
সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সুনামগঞ্জে সকল নদ–নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। উজানের ঢল আর অতিবৃষ্টিতে ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। ডুবে গেছে সড়ক, ব্যাহত হচ্ছে চলাচল। ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে সুনামগঞ্জ–তাহিরপুর সড়কের বেশ কিছু অংশ। বন্ধ হয়ে গেছে সরাসরি যান চলাচল। নৌকা দিয়ে এসব সড়ক পারাপার করছেন মানুষ। বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে সুরমা নদীর পানি। চলতি যাদুকাটা, বৌলাইসহ অন্যান্য নদীর পানি বৃদ্ধিও অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে বর্ষা আশায় মাত্র শুরু হয়েছে পর্যটন মৌসুম। দেশ-বিদেশের পর্যটক আগমন ঘটবে টাঙ্গুয়ার হাওর, নীলাদ্রি লেক, বারেকের টিলাসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পটে। নৌকা করে এসব জায়গা ঘুরে বেড়ান পর্যটকরা। তবে এখন বিরূপ আবহাওয়া ও বন্যার আশঙ্কা থাকায় পর্যটক না আসার আহ্বান জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী।
রোববার (২ জুলাই) দুপুরে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরিয়াস সভায় পর্যটক না আসার অনুরোধ জানানো হয়। এ সময় জেলা প্রশাসক বলেন, বর্তমানে সুনামগঞ্জের আবহাওয়া খুব একটা ভালো না। আগামী ৪৮ ঘণ্টা বৃষ্টিপাতের আভাস আছে। বৃষ্টি ও ঢলের পানিতে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। এমন অবস্থায় সুনামগঞ্জে পর্যটক আসতে আমরা নিরুৎসাহিত করছি। তবে নিষেধাজ্ঞা দিতে আরও কিছুটা পর্যবেক্ষণ করছি। অবস্থার অবনতি হলে পর্যটক আগমন নিষিদ্ধ করা হবে।
জরুরি সভায় আরও বক্তব্য রাখেন পৌর মেয়র নাদের বখত, ২৮ বিজিবি পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুবুর রহমান, পুলিশ সুপার মো. এহসান শাহ, স্থানীয় সরকার পরিচালক জাকির হোসেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার, জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ রজত কান্তি সোম সহ অন্যান্য দপ্তর প্রধান ও গণমাধ্যম নেতারা।