ঘুরে আসুন পাহাড়ের কোলে লুকিয়ে থাকা অফবিট ডেস্টিনেশন
Tweet
গরম পড়লেই মনটা একটু পাহাড় পাহাড় করে। ঠান্ডা জায়গায় কয়েকদিন ছুটি কাটিয়ে আসতে চান। বাংলাদেশের বাইরে ঠান্ডা জায়গা বলতে অনেকের পছন্দ দার্জিলিং, গ্যাংটক, সিকিম কিংবা শিলং–মেঘালয়। তবে মাঝে–মধ্যে এসবের বাইরে যদি নতুন কোনো গন্তব্য মেলে তাহলে আর চিন্তা কিসের? আজ জেনে নিন ভারতের দার্জিলিংয়ের বিকল্প জায়গা কোনটা! কম খরচে ঘুরে আসতে পারবেন সহজেই।
বরামানঝিন
কালিম্পংয়ে অবস্থিত একটি মন হারানো জনপদের নাম বরামানঝিন। এখানে বছরের ১২ মাস শীত বিরাজ করে। তাই কংক্রিটের শহরের ভ্যাপসা গরম থেকে রেহাই পেতে এই গন্তব্যে চলে আসতে পারেন। এখানে সূর্যোদয় থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত সবসময়ই অপরূপ সৌন্দর্য বিরাজ করে। বাংলদেশ সীমান্ত পার হয়ে নিউ জলপাইগুড়ি বা শিলিগুড়ি থেকে ওদলাবাড়ি, পাথরঝোড়া হয়ে সহজেই পৌঁছে যেতে পারেন বরামানঝিন।
গীতখোলা
কালিম্পংয়ের এক পাহাড়ি জনপদ গীতখোলা। এর নামকরণ হয়েছে প্রাকৃতিক সুরমূর্চ্ছনার জন্য। এখানে এসেই এক নিমেষে সমস্ত ক্লান্তি ভুলে যাবেন। যেদিকেই তাকাবেন দেখতে পাবেন ঝরনা আর ঝরনা। পাইনের জঙ্গলে ঘেরা এই জায়গায় জনবসতি খুবই সামান্য। দুধারে বিস্তীর্ণ চা বাগান তার মধ্যখান দিয়ে চলে গেছে রাস্তা। এখানে পৌঁছে মনে হবে যেন সুরের ঝংকার বাজছে। যে কারণে এই জায়গার এমন নামকরণ। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ভাড়া গাড়িতে করে ৮৫ কিলোমিটার দূরত্বে গীতখোলায় পৌঁছে যেতে পারবেন।
পাবং
পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়ার অন্যতম কারণ কাঞ্চনজঙ্ঘার দর্শন। কালিম্পংয়ের ছোট একটি গ্রাম পাবং। জনবসতি খুব বেশি নেই। হোটেল বা হোম স্টের জানলা থেকেই নজরে পড়বে অপরূপ কাঞ্চনজঙ্ঘা। সমতলের মানুষেরা শীতপোশাক ছাড়া কিন্তু যাওয়ার কথা ভাববেন না। অফবিট ট্রেকের ব্যবস্থা আছে। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে পাবং পৌঁছাতে তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা সময় লাগবে। কালিম্পং থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এ ঠিকানা।