টেন্ডুলকারের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ, ‘ভারতরত্ন’ কেড়ে নেওয়ার দাবি
Tweet
অনলাইন গেমিং অ্যাপের বাণিজ্যিক দূত হওয়ায় এবং বিজ্ঞাপনে অংশ নেওয়ায় শচীন টেন্ডুলকারের বাড়ি ঘেরাও করা হয়েছে।
ভারতের মহারাষ্ট্রের অচলপুর থেকে নির্বাচিত বিধানসভার সদস্য ওমপ্রকাশ বাবারাও ওরফে বাচ্চু কাডু ও তাঁর সমর্থকেরা আজ মুম্বাইয়ে টেন্ডুলকারের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় বিক্ষোভকারীরা বিষয়টি আদালতে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেন। এমনকি টেন্ডুলকারের ‘ভারতরত্ন’ পদবিও কেড়ে নেওয়ার দাবি জানান।
২০২০ সালে পেটিএম ফার্স্ট গেমস নামের একটি ফ্যান্টাসি গেমিং অ্যাপের বাণিজ্যিক দূত হিসেবে চুক্তি করেন টেন্ডুলকার। পরে বিজ্ঞাপন ও প্রচারে অংশ নেন। এই অ্যাপে টাকা জমা দিয়ে খেলতে হয়; যেটাকে জুয়া সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটের সঙ্গে তুলনা করেছেন বাচ্চু কাডু ও তাঁর সমর্থকেরা।
তাঁদের দাবি, ফ্যান্টাসি গেমিংয়ের আড়ালে আসলে জুয়া খেলা হচ্ছে। আর টেন্ডুলকার এই অ্যাপের প্রচার চালিয়ে তরুণ সমাজকে ভুল বার্তা দিচ্ছেন। বিক্ষোভকারীরা তাই ভারতীয় কিংবদন্তিকে পেটিএম ফার্স্ট গেমসের সঙ্গে চুক্তি ছিন্ন করার আহ্বান জানিয়েছেন।
জানা গেছে, গতকাল নির্দলীয় বিধায়ক বাচ্চু কাডু টেন্ডুলকারকে এ সংক্রান্ত একটি নোটিশ পাঠান। যেখানে তিনি ‘ভারতরত্ন’ পদবি পাওয়া একমাত্র ক্রিকেটারকে নিয়ম মেনে চলতে বলেন। কিন্তু বাচ্চু কাডু কোনো উত্তর না পাওয়ায় আজ তাঁর সমর্থকদের সঙ্গে ব্যানার–ফেস্টুন নিয়ে টেন্ডুলকারের বাড়ির সামনে জড়ো হন এবং বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বান্দ্রা পুলিশ মহারাষ্ট্র সরকারের সাবেক এই মন্ত্রী ও কমপক্ষে ১২ জন সমর্থককে আটক করে। তাঁদের সবাইকে বান্দ্রা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
আটক হওয়ার আগে বাচ্চু কাডু স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোকে বলেন, ‘আমরা তাঁকে (টেন্ডুলকারকে) একটি চিঠি পাঠিয়েছিলাম। তিনি কোনো উত্তর দেননি। যদি ৩০০ কোটি আয়ের জন্য এ ধরনের প্রচারে অংশ নিয়ে থাকেন, তাহলে তাঁর উচিত অবিলম্বে ভারতরত্ন ফেরত দেওয়া।’ এর আগে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্দেকেও এ ব্যাপারে চিঠি পাঠিয়েছেন বলে দাবি করেন বাচ্চু কাডু।
বাড়ির সামনে বিক্ষোভ নিয়ে টেন্ডুলকার বা তাঁর পরিবারের কারও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। ভারতীয় সরকারের পক্ষ থেকেও কিছু বলা হয়নি। টেন্ডুলকার একাই নন; ভারতের সাবেক–বর্তমান অনেক তারকাই ফ্যান্টান্সি গেমিং অ্যাপের প্রচার করে থাকেন। সৌরভ গাঙ্গুলী, যুবরাজ সিং, হরভজন সিং থেকে শুরু করে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, হার্দিক পান্ডিয়ারাও এর সঙ্গে যুক্ত। খোদ ভারতীয় দলেরই বর্তমান পৃষ্ঠপোষক অনলাইন গেমিং অ্যাপ ড্রিম ইলেভেন। এমনকি আইপিএলেরও টাইটেল স্পনসর ছিল ড্রিম ইলেভেন।
গত সপ্তাহে মুম্বাইয়ে অভিনেতা শাহরুখ খানের বাড়ি মান্নাতের সামনেও একই কারণে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে। বলিউড তারকার নিরাপত্তা নিশ্চিতে সে সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল।