শিশুদের ভ্রমণে নেয়ার উপকারিতা
Tweet
শিশুদের ভ্রমণে নেয়ার অনেক উপকারিতা বা ইতিবাচক দিক রয়েছে। কারণ গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব বাচ্চা ছোটবেলা থেকেই ভ্রমণে অভ্যস্ত তারা অন্যসব বাচ্চাদের তুলনায় অনেক বেশি স্মার্ট হয়। তারা সহজে মানুষের সাথে মিশতে পারে, তাদের অনেক বন্ধু থাকে। আবার কাজেকর্মে তারা যেমন দক্ষ হয় তেমনি এক মাথা থেকেই আসে বিচিত্র সব বুদ্ধি। কেন? জেনে নিন কারণগুলো-
বিচিত্র জায়গা দেখা
বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ানোর কারণে ভ্রমণপ্রিয় শিশুরা ছোটবেলাতেই অনেক জায়গা দেখতে পায়। বিচিত্র স্থানের বিচিত্র উপাদান তার মাঝে এক ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। ভ্রমণে বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া আর বাবা-মা এর চাকরির কারণে জায়গা পরিবর্তন কিন্তু এক জিনিস নয়। আমরা স্থান পরিবর্তন করি, কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যেখানে আবাস গড়ে তুলি তাকে একটা অভ্যস্ত অবস্থান হিসেবে নিই। যেমন, আমরা যারা ঢাকায় থাকি তারা অনেকেই ঢাকার বাইরে ঠিকই ঘুরতে গেছি কিন্তু দেখা যায় ঢাকার অভ্যন্তরে যে দর্শণীয় জায়গাগুলো আছে সেগুলো দেখিনি।
এটি একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য মানুষের। সে তার বাসভূমিকে এক্সপ্লোর করার আগ্রহ পায় কম। কিন্তু ভ্রমণের উদ্দেশ্যে যাওয়া মানেই খুঁজে খুঁজে বিশেষ জায়গাগুলোতে যাওয়া। এক্সপ্লোর করা। অভিভাবকের সাথে এই ভ্রমণগুলো তাকে দেয় বিচিত্র অভিজ্ঞতা।
শিশুদের ভ্রমণে নেয়ার উপকারিতা
বিচিত্র অভিজ্ঞতা নেয়া
ভ্রমণপ্রিয় এই শিশুরা নানান অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়। তারা ছোটবেলা থেকেই পরিচিত হয় পাহাড়ে চড়ার চ্যালেঞ্জের সাথে। তারা পরিচিত হয় সমুদ্রে রোমাঞ্চকর অভিজানের সাথে। নানান অভিজ্ঞতা গড়ে তোলে তাদের চমৎকার মননজগত। এই অভিজ্ঞতা কাজে দেয় বাস্তব জীবনে।
বিচিত্র বিশ্লেষণ এবং সৃষ্টির ক্ষমতা
অন্য সব শিশুর তুলনায় তাদের বিশ্লেষণ ক্ষমতা বেড়ে যায় বহুগুণে। তারা অনেক সহজে সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা অর্জন করে। এমনকি সমস্যা তারা ঘাবড়ে যায় না। কারণ ব্যক্তিজীবনে একটি শিশুকে সাধারণত যেসব সমস্যা মোকাবেলা করতে হয় সেগুলো ভ্রমণের চ্যালেঞ্জের তুলনায় একেবারে ক্ষুদ্র।
আবার ভ্রমণে সমস্যায় পড়লে তাৎক্ষণিক কোন সমাধান পাওয়া যায় না। মাথা খাটিয়ে সমাধান বের করে নিতে হয়। এই বিষয়টি শিশুর সৃজণশীলতা বাড়িয়ে দেয় বহুগুণে। হ্যাঁ, শিশুকে হয়ত সমাধান বের করতে হয় না। সেটা বড়রাই করে। কিন্ত তার মস্তিষ্কও সমাধান খুঁজতে থাকে। এই অভ্যাস তাকে আরও স্মার্ট করে তোলে।