ভ্রমণের ক্লান্তি এড়াতে যা করবেন
Tweet
অনেক ভ্রমণ পিপাষু রয়েছেন যারা একটু সুযোগ পেলেই ভ্রমণে বেরিয়ে পড়েন। দেশ ছেড়ে পাড়ি জমান দেশের বাইরে। ভালোবাসেন বিদেশ-বিভুঁইয়ে ঘুরে বেড়াতে। আর এমন পর্যটকদের সঙ্গত কারণেই অনেক বেশি দূরত্বের পথ ভ্রমণ করতে হয়। দীর্ঘ এই ভ্রমণে ব্যবহার করতে হয় বিমানসহ বিভিন্ন দূরপাল্লার যানবাহন। আর এতো দীর্ঘ ভ্রমণের ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে গিয়ে শরীরে চলে আসে ক্লান্তির ছায়া। যার ফলে ম্লান হয়ে যেতে পারে আপনার ভ্রমণ আনন্দ।
এই দীর্ঘ ভ্রমণের ক্লান্তি এড়াতে কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চললেই হয়। আসুন দীর্ঘ ভ্রমণে ক্লান্তিহীন থাকার কয়েকটি টিপস জেনে নেই আজ-
পূর্ব পরিকল্পনা
দীর্ঘ ভ্রমণে যাওয়ার আগে ভ্রমণ পরিকল্পনা করে নিন। বের হওয়ার একসপ্তাহ আগে থেকে ভালো করে ঘুমিয়ে নিন। সেইসঙ্গে নিয়মতি শরীর চর্চা করুন। নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করুন। তবে ক্যাফেইন ও চর্বি জাতীয় খাবার বর্জন করুন।
সক্রিয় থাকুন
বিমানবন্দর বা যে কোনো স্টেশনে পৌঁছার পর আপনার শরীরকে কোথাও এলিয়ে না দিয়ে সব সময় সক্রিয় থাকার চেষ্টা করুন। শরীরে আলসেমী ভাব হলে বিরক্ত না হয়ে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করুন। বিমান ওড়ার বা বাহন ছাড়ার আগে শরীরের আড়মোড়া ভেঙে নিন। এতে আপনার শরীরের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হবে।
স্বাস্থ্যকর খাবার
ভ্রমণের সময় এবং গৌন্তব্যে পৌঁছার পর স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করুন। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের ফল ও শাকসবজি খেতে পারেন। ক্যাফেইন, সুগার জাতীয় খাবার বাদ দিন। সেইসঙ্গে সম্ভব হলে বিমানে পরিবেশন করা অতিরিক্ত লবণাক্ত খাবারও এড়িয়ে চলুন।
স্বাস্থ্যকর পানীয়
বিমানে ওঠার পর উত্তেজনা দমিয়ে রাখুন। সেইসঙ্গে এক বোতল ফ্রেশ পানি ও ভেষজ চা নিয়ে নিন। যাতে আপনি ক্যাফেইনযুক্ত কঠিন পানীয় পরিহার করতে পারেন।
মেডিটেশন
বিমান উড্ডয়নের ২০ মিনিট আগে চোখ বন্ধ করুন এবং মেডিটেশন করুন। অবতরণের পরেও এ কাজের পুনরাবৃত্তি করুন। সেইসঙ্গে এমন গভীরভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিন, যাতে শ্বাস বের করে দেওয়ার সময় আপনার মনে হবে পেট একেবারেই খালি হয়ে গেছে।
আয়েশ করুন
ভ্রমণের সময় মজাদার কোনো সিনেমা দেখুন, মজাদার কোনো গল্প পড়ুন বা গান শুনুন। যা আপনার মেজাজে অনেক শিথীলতা এনে দিতে পারে। হঠাৎ যদি ঘুম পেতে থাকে তাহলে চট করে সিনেমা দেখা বা বই পড়া বন্ধ করে দিয়ে আয়েশ করুন।
বিশ্রাম নিন
ঘুমের চেয়ে বিশ্রামকেই বেশি গুরুত্ব দিন। অতিরিক্ত আরাম পেতে ভ্রমণের সময় এয়ার ফোন বা আই মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন।
স্বাভাবিকতা
নতুন স্থানে যাওয়ার পর শরীরের চাহিদা মোতাবেক কাজ করুন। অযথা জোর করে ঘুমানোর চেষ্টা করবেন না। বিশ্রাম নিয়ে নতুন স্থানের পরিবেশের সঙ্গে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেওয়ার চেষ্টা করুন।
ঘুম থেকে বিরত
নতুন স্থানে পৌঁছেই ঘুমানোর চেষ্টা করবেন না। এতে শরীরের ক্লান্তি আরও বেড়ে যেতে পারে। তবে দুপুর ২টা থেকে ৪টার মাঝখানে সর্বোচ্চ ২০ মিনিট ঘুমাতে পারেন।
সময় বদল
নতুন জায়গায় যাওয়ার পর স্থানীয় সময় অনুযায়ী ঘড়ির সময় বদলে নিন। সেইসঙ্গে নিজের দেশের সময়ের সঙ্গে মিলিয়ে চলার চেষ্টা বন্ধ করুন।