ঘুরে আসুন মাধবকুন্ড জলপ্রাত

Share on Facebook

প্রায় ২০০ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট দেশের সর্ববৃহৎ জলপ্রাত মাধবকুন্ডের অবস্থান মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা থানায়। বর্তমানে সেখানে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের রেস্টহাউজ ও রেস্টুরেন্ট নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে বেড়েছে পর্যটন সম্ভাবনা। এছাড়া সরকারি উদ্যোগে পুরো এলাকাটিকে ঘিরে তৈরি করা হচ্ছে ‘মাধবকুন্ড ইকোপার্ক’। মাধবকুন্ড-জলপ্রপাতের পাশেই রয়েছে কমলা বাগান। রয়েছে লেবু, সুপারি ও পানের বাগান। ফলে মাধবকুন্ড বেড়াতে গেলে সহজেই ঘুরে আসা যায় এসব বাগানে। এছাড়া মাধবকুন্ড এলাকায় বাস করে আদিবাসী খাসিয়ারা। খাসিয়ারা গাছে গাছে পান চাষ করে। মাধবছড়াকে ঘিরেই খাসিয়াদের জীবনযাত্রা আবর্তিত হয়। ফলে আদিবাষী জীবনযাত্রা আর সংস্কৃতিও উপভোগ করা যাবে এখানে। মাধবকুন্ড জলপ্রপাতে এল চোখে পড়বে উঁচু নিচু পাহাড়ি টিলায় দিগন্তজোড়া চা বাগান। টিলার ভাঁজে ভাঁজে খাসিয়াদের পানপুঞ্জি ও জুম চাষ। মাধবকুন্ড যাওয়ার উত্তম সময় হচ্ছে বর্ষাকাল। এ সময় ঝর্ণা পানিতে পূর্ণ থাকে। হাজার হাজার মানুষ আসেন প্রতি বছরের চৈত্র মাসে। চৈত্র মাসে ওই সময় বড় ধরনের মেলা বসে।

Image result for মাধবকুন্ড জলপ্রপাত

প্রবেশদ্বারে ১০ টাকায় টিকেট কেটে ভিতরে যেতে হয়। ভেতরে ওয়াচ টাওয়ারে উঠতে আরো ১০ টাকার টিকিট নিতে হবে। এছাড়াও ভেতরে আরো অনেক কিছু রয়েছে। এগুলোতেও প্রবেশে ফি দিতে হয়। যদিও এক সময় ঝর্ণায় সাঁতার কাটা যেত, ঝর্ণার উপররে উঠায় বাঁধা ছিল না, এখন এসব ক্ষেত্রে জরিমানা করা হয়। নিরাপত্তার জন্য চালু করা হয়েছে পর্যটন পুলিশ।

Image result for মাধবকুন্ড জলপ্রপাত

যেভাবে যেতে হবে

প্রথমেই আপনাকে আসতে হবে সিলেট, মৌলবিবাজার কিংবা কুলাউড়া। বাসে করে আসতে পারেন এখানে। ঢাকা হতে সরাসরি বাস আসে এসব স্থানে। অথবা ট্রেনে করে যেতে পারেন সিলেট বা কুলাউড়া। সবচাইতে সহজ পথটি হল ট্রেনে করে কুলাউড়া আসা। ট্রেনে কুলাউড়া ষ্টেশনে নেমে সিএনজি চালিত অটোরিকশা ভাড়া করে সরাসরি মাধবকুন্ড পৌছাতে পারেন। এতে আপনার খরচ ও পরিশ্রম কম হবে। কুলাউড়ায় নেমে বাসে করেও যেতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আপনাকে কাঁঠালতলী বাজারে নামতে হবে। সেখান থেকে অটোরিকশায় মাধবকুন্ড। দুরত্ব ৮ কিলোমিটার। এখানে পৌছে টিকেট কেটে মাধবকুন্ড এলাকায় প্রবেশ করে সোজা মাধবকুন্ড ঝর্ণায় চলে যান। আর উপভোগ করুন প্রকৃতির অপার বিস্ময়।

 

কোথায় থাকবেন

এখানে জেলা পরিষদের ২টি বাংলো ও ২টি আবাসিক হোটেল রয়েছে। তাছাড়া আপনি চাইলে সিলেট কিংবা মৌলভীবাজার শহরের হোটেলেও থাকতে পারেন।

 

Leave a Reply