ঘুরে আসুন কলাগাছিয়া ইকোট্যুরিজম
Tweet
সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ, খুলনা এর আওতাধীন সাতক্ষীরা রেঞ্জের কলাগাছিয়া টহল ফাঁড়ি ও ইকোট্যুরিজম কেন্দ্র এক অনাবিল সুন্দরবনীয় সৌন্দর্যসম্ভোগ।এখানে বন্যপ্রাণীদের কাছে যাওয়া ও বন্যপ্রাণীদের পানীয় জলের অভাব মেটাতে রয়েছে সুপেয় জলের একটি পুকুর।
দুষ্ট বাঁদর যেমন মুখ ভেংচি কেটে, এখানে ভয় দেখায় আবার মায়া হরিণ তেমনি এখানে মায়াজড়ানো মায়াবী চোখ তুলে আপনার কাছে চলে আসে সামান্য খাবারের জন্য। বিশাল লম্বা বনের মধ্যের ট্রেইল দিয়ে হাঁটতে গিয়ে বুক ধড়ফড় ভয় আপনাকে জড়িয়ে থাকবে আবার ৫ তলা ওয়াচ টাওয়ার থেকে দেখতে পাবেন সবুজের অরণ্য, সে অরণ্যজুড়ে রয়েছে সুন্দরি, গেওয়া, গরাণ, কেওড়া, পশুর, বাইন, কাঁকড়া ও গোলপাতাসহ মোট ৩৩৪ প্রজাতির উদ্ভিদ।
লোকালয় থেকে বেশ দূরে বনের ভেতরে এই ট্রেইল এবং টহল ফাঁড়ি তাই এখানে শুনশান নিস্তব্ধতায় ছেয়ে থাকে চারপাশ। তবে সব নীরবতা ভেঙে বানরের ডাক আর ভেঙচি কাটা যেন ভয়ের সঞ্চার করে। ট্রেইলের আশপাশে এত ঘন বন যে দৃষ্টিসীমা নেমে আসে কয়েক গজে আর সঙ্গে তো বাঘের ভয় আছেই, সে এক অন্যপ্রকার অনুভূতি, ভয়জড়ানো অ্যাডভেঞ্চার।
কীভাবে যাবেন
সুন্দরবনের কলাগাছিয়া ইকোট্যুরিজম (পর্যটন) কেন্দ্রে যেতে হলে প্রথমেই আসতে হবে সাতক্ষীরায়। সড়ক পথে সেখান সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ অথবা নীলডুমুর ঘাট থেকে ট্রলার যোগে যাওয়া যায় কলাগাছিয়া কেন্দ্রে। নীলডুমুর খেয়া ঘাট থেকে ইঞ্জিন চালিত ট্রলারে করে সময় লাগে ২৫ থেকে ৩০ মিনিট। ২০-২৫ জনের ধারণক্ষমতার একটি ট্রলার ভাড়া পড়বে ৮শ’ থেকে ১২শ’ টাকা পর্যন্ত।
কোথায় থাকবেন
বর্ষা ট্যুরিজম, সুশীলন এর টাইগার পয়েন্ট, আকাশলীনা রিসোর্ট এ থাকতে পারবেন এটি মুন্সীগঞ্জ বাজারের পাশেী অবস্থিত।
কী খাবেন
সুন্দরবন এলাকায় বিভিন্ন রকমের মাছ, • সাদা সোনা / বাগদা চিংড়ী • নদীর মাছ। • কেওড়া এগুলা শ্যামনগরে পাবেন। সাতক্ষীরা নামলে – • সাতক্ষীরার সন্দেশ। • চুয়ে ঝাল।