ঘুরে আসতে পারেন শাপলা বিল
Tweet
বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে শাপলার এক বিশাল রাজ্য। কখনো কখনো চোখ ধাঁধিয়ে যায়! মন জুড়িয়ে যায়। ছোট্ট ডিঙ্গি নৌকায় চেপে হারিয়ে যাওয়া যায় শাপলা ফুলের এই রাজ্যপাটে। বরিশাল সদর থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে উজিরপুর উপজেলার অন্তর্গত সাতলা গ্রামে গেলে দেখা মিলবে নয়নাভিরাম এক দৃশ্যের।প্রায় ১০ হাজার একর জলাভূমি জুড়ে এরকম লাল শাপলার আধিক্য। এখানকার অধিকাংশ মানুষের জীবিকা নির্বাহ হয় শাপলা চাষ ও এর বিপণনের মাধ্যমে। সাতলা বর্তমানে একটি পর্যটকমুখী এলাকা হলেও এটি একটি বিলের নাম। একসময়ে বর্ষাকালে এটা সম্পূর্ণ ডুবে যেত। স্বাধীনতার পরে তৎকালীন মন্ত্রী আবদুর রব সেরনিয়াবাত প্রথম সাতলায় বাঁধ দেওয়ার কাজ শুরু করেন। তারপর বিল থেকে বিশাল এলাকা উত্থিত হয়ে বর্তমানে মনোরম এলাকায় পরিণত হয়েছে সাতলা গ্রাম। এই বিলে প্রাকৃতিকভাবে শাপলা ফোটে। ছোট নদী, হাওর ও বিলবেষ্টিত ছোট গ্রাম সাতলা। বরিশাল সদর থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত উজিরপুর উপজেলার সাতলা ইউনিয়ন। ইউনিয়নের উত্তর সাতলা গ্রাম ও পার্শ্ববর্তী আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের বাগদা ও খাজুরিয়া গ্রামের কয়েকশ হেক্টর জমি নিয়ে এ বিলের মূল অবস্থান। সবচেয়ে বেশি শাপলার উপস্থিতি দেখা যায় সাতলার নয়াকান্দি ও মুড়িবাড়ীতে। এখানে মার্চ/এপ্রিল থেকে শুরু করে নভেম্বর/ডিসেম্বর পর্যন্ত শাপলার দেখা মেলে। সূর্যের তেজ যত তীব্র হয় শাপলা ফুল ততই বুজে যায়। শাপলার আসল সৌন্দর্য উপভোগের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হলো ভোর ৫টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত। তাই শাপলার পরিপূর্ণ সৌন্দর্য দেখতে চাইলে খুব সকালেই সাতলা যাওয়া উত্তম।
কীভাবে যাবেন
ঢাকার সদরঘাট থেকে লঞ্চে বরিশাল।লঞ্চ থেকে নেমে একটা মাহেন্দ্র (সিএনজি সদৃশ যান) রিজার্ভ করে সোজা সাতলা চলে যেতে হবে। সাতলা গিয়ে ডিঙ্গি নৌকা ভাড়া নিয়ে বিল ঘুরবেন। কেউ স্থলযোগে বাসে আসতে চাইলে হানিফ, সাকুরা, সোনারতরী বা বিআরটিসি বাসে সরাসরি বরিশাল এসে সাতলার বাসে যেতে পারেন। আর স্বরূপকাঠি পর্যন্ত বাসে আসার জন্য হানিফ, সোনারতরী বা সুগন্ধা পরিবহনে আসতে পারেন।
কোথায় থাকবেন
থাকার জন্য খুব ভালো ব্যবস্থা নেই সাতলায়। তবে আরামদায়ক রাতযাপনের জন্য স্থানীয় লোকজনের সাহায্যে তাদের আশ্রয়ে থাকা যেতে পারে। এতে খুব সকালে শাপলার বিলে ভ্রমণ আপনার জন্য সহজতর হবে। পার্শ্ববর্তী হারতা বাজারে রাতে থাকার জন্য স্বল্পখরচের দুটি হোটেল আছে, তবে সেটা শহুরে লোকজনের জন্য খুব একটা আরামদায়ক হবে না।