ঘুরে আসুন `ফুলের রাজধানী` গদখালী
Tweet
বাংলাদেশের ফুলের রাজধানী হিসাবে সুপরিচিত যশোর জেলার গদখালী বাজার। গদখালীতে আসা ফুলগুলো যশোর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে ঝিকরগাছা ও শার্শা থানার ৯০ টি গ্রামের প্রায় ৪ হাজার বিঘা জমিতে চাষ করা হয়। ঝিকরগাছা ও শার্শা থানার গ্রামগুলোর রাস্তার দুইপাশে দিগন্ত বিস্তৃত জমিতে লাল, নীল, হলুদ, বেগুনি আর সাদা রঙের ফুলের সমাহার দেখে মন্ত্রমুগ্ধের মত তাকিয়ে থাকতে হয়। এছাড়া ফুলের সুগ্রান, মৌমাছির গুঞ্জন, আর রঙিন প্রজাপতির ডানায় ভর করে এখানে আসে চিরন্তন সুন্দরের বার্তা।
যশোর-বেনাপোল রোড ছেড়ে ডানে, বায়ের গ্রামগুলোয় ঢুকে কিছুদুর এগিয়ে গেলেই দেখা মিলবে দিগন্ত জোড়া ফুলের মাঠ। রজনীগন্ধা, গ্লাডিওল্যাস, গোলাপ আর গাঁদা ফুল চাষ হয় এসব গ্রামে। ফুল কেটে গরুর গাড়িতে করে বাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে থেকে বান্ডিল করে চালান হয়ে যাচ্ছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে। প্রতিবছর ৫ থেকে ৭ কোটি স্টিক ফুল উৎপাদন হচ্ছে এসব মাঠে।
গদখালি বাজার থেকে সকালেই ভ্যানে চড়ে চলে যাবেন ফুলের রাজ্যে। ভ্যান যতো সামনে এগোবে, চারপাশের জায়গাগুলো সবুজের পরিবর্তে লাল, নীল, হলুদ কিংবা সাদা হয়ে উঠবে! চোখ আটকাবে দু’ধারে। দেখলেই মনে হবে, হরেক রকমের রঙিন চাদর বিছিয়ে রেখেছে দিগন্তজুড়ে।
ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী ইউনিয়নের পানিসারা, হাড়িয়া, কৃষ্ণচন্দ্রপুর, পটুয়াপাড়া, সৈয়দপাড়া, মাটিকুমড়া, বাইসা, কাউরা ও ফুলিয়া গ্রামের প্রতিটি মাঠের চিত্রই এমন। শত শত বিঘা জমি নিয়ে গাঁদা, গোলাপ, গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধা, জারবেরা, কসমস, ডেইজি জিপসি, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকাসহ আরো বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের চাষ। মনে হবে সুন্দর বাংলাদেশের বুকে এক টুকরো স্বর্গ।
ফুলের তীব্র সুগন্ধ, অসংখ্য মৌমাছি-প্রজাপতিদের উড়ে যাওয়া দৃশ্য মন কেড়ে নিবে। এখানকার ফুল চাষিদের মনটা ফুলের মতোই সুন্দর। যে কোনো বাগানে ঢুকে ইচ্ছে মতো ঘুরে বেড়ান, ছবি তুলুন, পছন্দমতো কয়েকটা ফুল তুলুন; কেউ কিছু বলবে না। বরং আপনার দিকে তাকিয়ে মিষ্টি একটা হাসি দিবে। তবে ফুলের বাগানে ঢোকার আগে অবশ্যই চাষিদের অনুমতি নিবেন।
কীভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে সাতক্ষীরা বা বেনাপোলগামী বাসে চড়ে যশোর অতিক্রম করার পর ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী বাজারে নামতে হবে। গদখালী নেমে রাস্তার ২ পাশেই হেটে অনেকগুলো বাগান ঘুরে দেখা সম্ভব।
কোথায় থাকবেন
যশোর বা সাতক্ষীরা শহরে বেশ কিছু দামী- কমদামী আবাসিক হোটেল রয়েছে।